প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহর।
পরিস্থিতিটা তৈরি হচ্ছিল গত ক’দিন ধরেই। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বর্ষার দাপাদাপি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, বর্ষার এমন মেজাজ শনিবারও চলবে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতও হতে পারে। আবহবিদেরা জানান, দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের উপরে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। তার ফলেই এমন জোরালো মেজাজ এসেছে বর্ষার। দিনভর কালো আকাশ ও বৃষ্টিতে মিলেছে স্বস্তিও। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও জোরালো বৃষ্টি মিলবে বলেও হাওয়া অফিসের খবর।
এ দিন সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার ফলে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় অল্পবিস্তর জল জমেছে। বৃষ্টির কারণে ঢিমে হয়েছে যানবাহনের গতিও। মহাত্মা গাঁধী রোড, বৌবাজার, পার্ক সার্কাস কানেক্টরের মতো বিভিন্ন এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।
এ বার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে ১৭ জুন। নির্দিষ্ট সময়ের (৮ জুন) প্রায় ৯ দিন পরে! তার পরেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কিন্তু জোর পায়নি। ফলে জুন মাসের শেষে ঘাটতি নিয়েই শেষ হয়েছে বর্ষা। আবহবিদেরা বলছেন, বর্ষা ঢোকার পর তা জোরালো করতে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ প্রয়োজন হয়। এ বার ১৭ জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত এর আগে মাত্র একটি নিম্নচাপ মিলেছে। তার ফলে দিন দু’য়েক বৃষ্টি মিললেও তা খুব একটা কাজে লাগেনি।
হাওয়া অফিসের খবর, এ বার বর্ষা তেমন জোর না পাওয়ায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার ঘাটতি মিটছে না। কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম মালুম হচ্ছে। তার ফলে বৃষ্টির বদলে পথেঘাটে, বাসে-ট্রামে-ট্রেনে ঘামে জামাকাপড় ভিজছে মানুষের। আবহবিদদের একাংশের মতে, এই নিম্নচাপ অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের দৌলতে দিন কয়েক বৃষ্টি মিললে সেই ভ্যাপসা গরম দূর হবে। স্বস্তি পাবেন আমজনতা।
হাওয়া অফিসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এক দফা বৃষ্টি এবং তার পরে ভ্যাপসা গরম। ফের এক দফা বৃষ্টি। বর্ষাকালে এটাই দস্তুর। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকেই বৃষ্টি কমবে। উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সের দিকে সরে যাবে মৌসুমি অক্ষরেখাও। ফলে দিন কয়েকের স্বস্তির পরে কী পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে, সেটাও কিন্তু ঘুরপাক খাচ্ছে হাওয়া অফিসের অন্দরে।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy