ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিবেগ নির্ধারিত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। কিন্তু বেশির ভাগই গাড়িই চলে তার বেশি গতিতে। দে্খার কেউ নেই! মোটা টাকা ‘টোল’ দিয়ে এ রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এই বর্ষায় রাস্তা জুড়ে কয়েক হাত অন্তর বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। দেখার কেউ নেই!
রাস্তার ধারে যেখানে-সেখানে ট্রাক দাঁড় করানোর নিয়ম নেই। কিন্তু সেই ‘বেনিয়ম’ হয়েই চলেছে। দেখার কেউ নেই! দীর্ঘদিন ধরেই ওই জাতীয় সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বহু মানুষ হতাহত হচ্ছেন। শুক্রবার ভোরেই দাদপুরের কাছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীর। গাড়ির রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বালিবোঝাই ট্রাকে ধাক্কা মারে। এরপরেও ‘বেনিয়ম’ রুখতে পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়বে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই, বহু গাড়ি-চালকেরও অভিজ্ঞতা বলছে, বড় দুর্ঘটনার পরে কিছুদিন পথ নিরপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ে। তারপরে যে কে সেই! উত্তরপাড়া কোতরংয়ের বাসিন্দা বিজন দাস ব্যবসার কাজে প্রায়ই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পানাগড়ে যান। তিনি বলেন, ‘‘এখন রাস্তা ভরেছে গর্তে। অন্যদিকে পাশে ট্রাকের সারি। আমরা কেন টাকা দিয়েও যাতায়াতের সময় ন্যূনতম নিরাপত্তাটুকু পাব না?’’
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, গর্ত মেরামতির কাজ চলছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প অধিকর্তা স্বপনকুমার মল্লিক বলেন, ‘‘যখন এই রাস্তায় গাড়ি চলাচল শুরু হয়, তার চেয়ে এখন অনেক গুণ গাড়ি বেড়েছে। সেই কারণে আমরা পানাগড় পর্যন্ত আরও ১৯টি লে-বাই (ট্রাক দাঁড় করানোর জায়গা) তৈরি করার ভাবনাচিন্তা করেছি। আমাদের আশা তা হলে আর এই পরিস্থিতি তৈরি হবে না। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকে আমরা পথ নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলি। এ নিয়ে কর্মশালা জরুরি।’’