Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Extra marital Affair

Extra Marital Affair: টালির চাল ভেঙে পাকা বাড়ি বানাতে গিয়েই কি কর্মকার ভাইদের সংসার ভাঙার পথে

পুলিশি জেরায় অনন্যা এবং রিয়া কর্মকার জানিয়েছেন, কেন তাঁরা রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভজিৎ দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন।

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:০৮
Share: Save:

বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে মুম্বই পালিয়ে যাওয়া বালির কর্মকার পরিবারের দুই গৃহবধূকে ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে এনেছে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। পুলিশি জেরায় অনন্যা এবং রিয়া কর্মকার জানিয়েছেন, কেন তাঁরা রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভজিৎ দাসের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, পাকা বাড়ি তৈরির জন্য রাজমিস্ত্রিরা কাজ শুরু করার পর থেকেই চলেছে তাঁদের প্রেমপর্ব। টালির চালের বাড়ি ভেঙে পাকা বাড়ি বানাতে গিয়ে, এ রকম বিড়ম্বনা নেমে আসবে জীবনে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি কর্মকার পরিবারের দুই ভাই।

প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বালির নিশ্চিন্দায় নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম পলাশ কর্মকার এবং প্রভাত কর্মকারের। কষ্ট করেই দুই ভাইকে বড় করেছেন তাঁদের বাবা। টালির চালের বাড়িতে ছোট একটি মুদিখানা দোকান ছিল পলাশ-প্রভাতের বাবার। তা দিয়েই কোনও মতে চলত তাঁদের সংসার। পরবর্তীকালে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ পান পলাশ এবং প্রভাত। সেই টাকা জমিয়ে পাকা বাড়ি তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন দুই ভাই।

সেই মতো এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পাকা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়। দুই ভাইয়ের এক পরিচিত ব্যক্তি রাজমিস্ত্রি হিসাবে ঠিক করে দেন শেখর এবং শুভজিৎকে। সেই মতোই বাড়ি কাজও শুরু হয়েছিল। বাড়ি পাকা হওয়ার পাশাপাশি অনন্যা এবং রিয়া তাঁদের যে জীবন থেকে একটু একটু করে সরে যাচ্ছেন, সে কথা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি কর্মকার পরিবারের দুই ভাই।

কর্মকার পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদানীং অনন্যা এবং রিয়া দিনের অনেকটা সময় মোবাইলে ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু তাঁরা যে তলে তলে রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে প্রেম করছেন, তা বুঝতেই পারেননি দুই ভাই। ওই দুই ভাই জানিয়েছেন, সারা দিন কাজ করে বাড়ি ফিরতে রাত হত তাঁদের। কিন্তু উপার্জনের ব্যস্ততার মধ্যেই যতটা সম্ভব সময় স্ত্রীদের দিতেন বলে দাবি তাঁদের। তার পরও ‘দুর্ভাগ্য’ নেমে এল তাঁদের জীবনে।

১৫ ডিসেম্বর শীতের পোশাক কিনতে বাড়ি থেকে বেরেনোর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বালির নিশ্চিন্দার বাসিন্দা অনন্যা, তাঁর জা রিয়া এবং রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুষ। আসানসোল স্টেশন থেকে ধরে তাঁদের ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অনন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজমিস্ত্রি শেখর রায়ের। তাঁর জা রিয়া বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ দাসের সঙ্গে। দুই বধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামীরা তাঁদের সময় দিতেন তা। এর সঙ্গে সংসারে একঘেমেয়ি গ্রাস করেছিল তাঁদের। এ রকম অবস্থাতেই ‘মিষ্টভাষী’ এবং ‘মিশুকে’ দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে আলাপ এবং প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। তবে শেখর এবং শুভজিৎ কী উদ্দেশে তাঁদের মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। দুই বধূকে কী ‘স্বপ্ন’ দেখিয়েছিলেন তাঁরা, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE