ফুলেশ্বরের বছর আঠারোর অর্ঘ্য রায় দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী শংসাপত্র রয়েছে তাঁর। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি আক্রান্ত সেরিব্রাল পালসিতেও। বহুমুখী প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। তাঁর অভিযোগ, বিস্তর নাকাল হতে হচ্ছে তাঁকে।
নিয়ম হল, কেউ প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট চাইলে তাঁকে বহির্বিভাগে নাম লেখাতে হয়। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় জরুরি বিভাগে। সেখান থেকেই বলে দেওয়া হয় কোন চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করবেন। ওই চিকিৎসক পরীক্ষা করার পর সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য চিকিৎসকের বোর্ড বসে। সেই বোর্ডই সার্টিফিকেট দেয়।
অর্ঘ্যর দাবি, তিনি বহির্বিভাগে নাম লেখানোর পরে জরুরি বিভাগে যান। সেখান থেকে তাঁকে বলা হয় মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করবেন। অর্ঘ্যর অভিযোগ, দিনের পর দিন হাসপাতালে এসে ঘুরে গেলেও কোনও মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করেননি। এই বিভাগ থেকে শুধু একের পর এক তারিখ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বাবা দিলীপ রায় পেশায় ঘড়ির কারিগর। তিনি বললেন, ‘‘এমনিতেই ছেলে দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী। তার উপরে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। বারবার ছেলেকে হাসপাতালে আনতে আমাদের কী যে নাকাল হতে হচ্ছে তা বলার নয়!’’