ফাইল চিত্র।
নিজেদের আবাসনে বসেই নতুন-পুরনো সব ফ্ল্যাটের মিউটেশন করানোর সুবিধা পাবেন হাওড়াবাসী। হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে ‘দুয়ারে সরকারে’র আদলে এই নতুন প্রকল্প চালু হবে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাত বাড়ালেই মিউটেশন’।
পুরপ্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার এই প্রকল্পের অঙ্গ হিসাবে জেলার শালিমার এলাকায় স্বর্ণময়ী রোডে হাওড়া পুরসভার উদ্যোগে একটি আবাসনে শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে পুরসভাকে সহযোগিতা করবে বহুতল নির্মাণকারী বিভিন্ন সংস্থার সংগঠন ক্রেডাই (কনফেডারেশন অব রিয়েল এস্টেট ডেভালপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া)। সংস্থার চেয়ারম্যান রামরতন চৌধুরী বলেন, “আমাদের নির্মাণ করা সমস্ত ফ্ল্যাটে এই প্রকল্প চালু হবে।” পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন হাওড়াবাসীরা। অরূপ পাল নামে এক বাসিন্দা বলেন, “ঘরে বসে এ সুবিধা পাওয়া গেলে ভালই হবে।”
করোনা রুখতে রাজ্যে বিধিনিধিষের জেরে বাস, ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ থাকায় বহু মানুষই পুরসভায় যেতে পারছেন না। পুরনিগমে এসে মিউটেশন করাতে গিয়ে ঝঞ্ঝাটও পোহাতে হয় বলে অনেকের অভিযোগ। হাওড়া পুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বহু নতুন-পুরনো ফ্ল্যাটের মিউটেশন হয়নি বলেও দাবি একাংশের। এ বার হাতে হাতে এই পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলী বসানো হয়েছে। কিছু দিন আগে একটি বৈঠকে বোর্ডের সদস্যরা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এ বার থেকে বিভিন্ন আবাসনে পুরসভার কর বিভাগের কর্মীরা শিবির করবেন। যে সব আবাসন বিল্ডিং রুল মেনে তৈরি হয়েছে, সে সব ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রি হয়ে গিয়ে থাকলে তার মিউটেশন করা হবে। পুরবাসীদের সুবিধায় এ পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, “এতে পুরসভার আয় বাড়বে। মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy