রেলের জমি থেকে জবরদখল উচ্ছেদের নোটিস ঘিরে সরগরম ব্যান্ডেল। চাপানউতোর চলছে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না, এই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। বিজেপির পাল্টা দাবি, রেলের জমিতে বসবাসকারী লোকজনকে যাতে উঠে যেতে না হয়, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে তারা দরবার করছে। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সোমবার এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করলেন, তাঁরা যেন নিশ্চিন্তে থাকেন। কোনও পক্ষের দাবি নিয়েই পূর্বরেলের আধিকারিকেরা মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিন দুপুরে ব্যান্ডেলের সাহেবপাড়ায় রেল আবাসনে যান লকেট। সঙ্গে ছিলেন দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং যুবনেতা সুরেশ সাউ। রেলের জমিতে বসবাসকারীদের লকেট জানান, নোটিসের কথা জানার পরে তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি জেনেছেন। রেলমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। ফলে, তাঁরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। এলাকাবাসীর কাছে লকেটের দাবি, তৃণমূল এ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।
রেল গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করতে চাইছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখে শুক্রবার লাঠি নিয়ে এলাকায় মিছিল করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। রেলের লোকজন কাগজ দেখতে এলে ‘মুঙ্গেরের লাঠি’ নিয়ে তাড়া করে এলাকাছাড়া করারও নিদান দেন তিনি। প্রয়োজনের ‘রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের’ কথাও বলেন। সেই প্রসঙ্গে এ দিন লকেট বলেন, ‘‘বিধায়ক জানেন, আগামী দিনে জিততে পারবেন না। তাই মানুষের হাতে লাঠি তুলে দিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছেন। ভুল বুঝিয়ে মানুষকে বিপথে চালিত করতে চাইছেন।’’