শব্দবাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিলই। করোনা আবহে এ বার সব ধরনের আতশবাজি থেকেও মানুষকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে হুগলি এবং হাওড়া জেলার পুলিশ-প্রশাসনে তৎপরতা শুরু হয়েছে। ফুলঝুরিও বেচাকেনা করা যাবে না।
হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ জানিয়েছে, বাজি পোড়ানো বন্ধ করতে বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনকে নিয়ে সচেতনতা শিবির করা হবে। আজ, শনিবার থেকেই তা শুরু হবে। বাজি কারখানাতেও হানা দেওয়া হবে। তার আগে অবশ্য হাইকোর্টের রায়ের কথা জানিয়ে উৎপাদকদের সতর্ক করা হবে। যাতে তাঁরা বাজি তৈরি না করেন। রাস্তা বা দোকানেও কেউ বাজি বিক্রি করলে সতর্ক করা হবে। তাতে কাজ না হলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হবে।
কলকাতার কাছে অন্যতম বড় বাজি উৎপাদক জেলা হুগলি। ডানকুনি, চণ্ডীতলা, জাঙ্গিপাড়ার কিছু এলাকায় ঘরে ঘরে বাজি তৈরি হয়। হরিপাল, ধনেখালি, পোলবা, পান্ডুয়া এবং বলাগড় ব্লকেও বাজি তৈরি হয়। এই জেলা থেকে কলকাতাতেও বাজি সরবরাহ করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বাজির উৎপাদন বা বিক্রি বন্ধে বদ্ধপরিকর এখানকার পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশের বক্তব্য, বাজি বিক্রেতাদের প্রথমে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিষেধ না-মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।