পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দেড় দিন। কিন্তু রবিবার বিকেল পর্যন্ত ব্যান্ডেলের ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের কাউকে ধরতে পারল না পুলিশ। তবে, এক সপ্তাহ আগে শ্রীরামপুরের বিবিরবেড়ে এলাকায় যুবক অতনু ঘোষ ওরফে মন্টুকে খুনে ধৃত দুষ্কৃতী সঞ্জয় দে এ দিন পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকাশ্যে দোষ কবুল করেছে। কী ভাবে মন্টুকে খুন করা হয়, সে কথাও জানিয়েছে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট তৈরি হওয়ার পরে তার আওতাধীন বিভিন্ন থানা এলাকায় যে ভাবে একের পর এক অপরাধমূলক কাজকর্ম সামনে আসছে, তাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। কমিশনারেট হয়ে লাভ কী হল, এই প্রশ্নও উঠে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তাহীনতাও। পুলিশ অবশ্য দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। বিবিরবেড়ের খুনের ঘটনায় জড়িত বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন কমিশনারটেরের এক কর্তা। একই আশ্বাস মিলেছে ব্যান্ডেলের ঘটনার ক্ষেত্রেও।
গত ৮ জুলাই রাতে বিবিরবেড়ে একটি ক্লাবের সামনে মাথায় গুলি করে খুন করা হয় মন্টুকে। ১১ তারিখে শ্রীরামপুরের তারাপুকুরের বাসিন্দা সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে ধৃত বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রবিবার দুপুরে শ্রীরামপুর থানার তদন্তকারী অফিসাররা সঞ্জয়কে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। তার মুখ ঢাকা ছিল। সঞ্জয়ের কথা শুনতে এলাকায় ভিড় জমে। সঞ্জয় তদন্তকারীদের জানায়, ওই রাতে মোটরবাইকে চেপে তারা তিন জন আসে। মন্টু ক্লাবের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিল। বাইক থেকে নেমে সঞ্জয়ই তাঁকে ডাকে। মন্টু এগিয়ে আসতেই তাঁকে গুলি করা হয়। মন্টু কোথায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন, কোন জায়গায় তাঁকে গুলি করা হয়— সবই দেখিয়ে দেয় সঞ্জয়।