করোনার বিধিনিষেধের জেরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে না অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আবার হাতে গোনা যে অল্প কিছু শিবির হচ্ছে, সেখানেও করোনার বিধি মেনে বেশি সংখ্যক মানুষ রক্ত দিতে পারছেন না। তার জেরে রক্ত-সঙ্কটে ভুগছে গোটা হাওড়া জেলা। চরম সমস্যায় পড়েছেন মুমূর্ষু রোগীরা। রক্তের আকালের কথা স্বীকার করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস। সরকারি-বেসরকারি সংগঠনগুলিকে রক্তদান শিবির করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ রায়।
সমস্যা অবশ্য নতুন শুরু হয়েছে এমন নয়। কিন্তু এখন করোনা বিধি ধীরে ধীরে শিথিল হওয়ায় হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে সাধারণ রোগীর ভিড়। ফলে সঙ্কট আরও তীব্র হয়েছে। অধিকাংশ ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের মজুত কার্যত তলানিতে। জেলার চিকিৎসকদের বক্তব্য, করোনা রোগীদের প্লাজমা থেরাপি, থ্যালাসেমিয়া রোগী-সহ মুমূর্ষু রোগীদের রক্তের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভবানীবাবুও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬০% রক্তদান শিবির আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে প্রতি মাসে। ফলে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে রক্তের যোগানে। যেহেতু ২৫ থেকে ৩০ জনের বেশি একটি ক্যাম্পে থাকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তার জন্যও কমছে রক্ত সংগ্রহ।
হাওড়া জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকেও রক্তের যোগান কম থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্বারস্থ হয় রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অরূপ রায়ের কাছে। মন্ত্রীর নির্দেশে রেডক্রস সোসাইটির হাওড়া শাখা রবিবার একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। সেখানে প্রায় ৭০ জন রক্ত দেন। মুমূর্ষু রোগীর স্বার্থে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের হাওড়া শাখার সম্পাদক সুজয় চক্রবর্তী।