টোটনের অনুগামীদের তল্লাশি পুলিশের। — নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। হুগলির সেই ‘ডন’ টোটন বিশ্বাসকে বৃহস্পতিবার আবারও আনা হচ্ছিল আদালতে। সেই সময় ‘দাদা’র ‘নিরাপত্তা’র দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন তাঁর ‘সশস্ত্র’ ভাইরা। পুলিশ অবশ্য টোটনের সেই ‘ভাই’দের আটক করেছে। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও।
বৃহস্পতিবার পিজি হাসপাতাল থেকে পুলিশ ভ্যানে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল টোটনকে। পথে দেখা যায় অভূতপূর্ব ছবি। দিল্লি রোডে পুলিশ ভ্যান উঠতেই এক দল বাইক আরোহী যুবক সেই কনভয়ের পিছু নেয়। ডানকুনি থেকে দিল্লি রোডে ওঠার পর চন্দননগর পুলিশ টোটনের গ্যাংয়ের সদস্যদের আটকায়। তাঁদের রাস্তার পাশে হাঁটু মুড়িয়ে বসায়। এর পর হাত মাথার পিছনে দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশকর্মীরা প্রত্যেকের নাম লিখে নেন। পাশে পিস্তল হাতে পাহারায় থাকেন পুলিশ আধিকারিকরা। টোটনের গ্যাংয়ের সদস্যের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কয়েক রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গত ৬ অগস্ট টোটোনকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সামনেই টোটোনকে গুলি করা হয়। টোটন যখন বাইরে ছিলেন তখন তাঁকে সবসময় ৪০-৫০ জন ঘিরে থাকত। যাতে টোটনের উপর কেউ আক্রমণ না চালাতে পারে। হাসপাতালে তাঁর উপর হামলার পর টোটনের গ্যাংয়ের সদস্যরা আর ‘ঝুঁকি’ নিতে চায়নি বলে মনে করা হচ্ছে।
টোটনকে বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, ‘‘বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। ওদের কাছে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy