মঙ্গলবার দুপুরবেলা। মুখোপাধ্যায় গিন্নি হাঁক পাড়লেন, ‘‘কীরে, বিকেল হল বলে। জোরে হাত চালা তোরা। সময়ে শেষ করতে হবে তো!’’ তাঁর কথা শুনে শশব্যস্ত হয়ে কাজে গতি বাড়ালেন মহম্মদ কালাম আনসারি, মহম্মদ আশরাফ, মহম্মদ লালবাবুরা।
ওই ব্রাহ্মণ পরিবারের একটি ঘরে গত কয়েক দিন ধরেই তৈরি হচ্ছিল মহরমের তাজিয়া। এ দিন যথাসময়ে তা শেষ করার জন্যই গৃহকর্ত্রীর তাগাদা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই নজির শ্রীরামপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলার। নির্দিষ্ট সময়ে বেরল তাজিয়া।
ওই পরিবারের লোকেরা জানান, মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে খোলা জায়গায় তাজিয়া তৈরি করা সম্ভব নয়। সেই কারণে পাড়ার ছেলেদের একটা ঘর দরকার ছিল। সেই কথা জেনেই তাঁরা এগিয়ে আসেন। কালাম, জামালদের সঙ্গে ওই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন রাজা সাউ। বন্ধুরা জানান, রাজা থার্মোকলের কাজে পটু। সেই কারণে তাজিয়া থেকে পুজোর মণ্ডপ সাজানো— সবেতেই তার
ডাক পড়ে।