ছোট ইলিশ হাতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আবেদন, ছোট ইলিশ না ধরার জন্য।
কয়েক দিন আগেই সংবাদমাধ্যমে এই বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হলেও ছোট ইলিশ নিধন থামছে না। হাওড়া জেলার বিভিন্ন বাজারে অবাধে ২০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিকোচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ, ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ ধরা বা বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। আর এই বিক্রি নিয়ে জেলা মৎস্য দফতর এবং পুলিশের মধ্যে চাপান-উতোরও চলছে।
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় বাগনান, উলুবেড়িয়া, আমতা, শ্যামপুর প্রভৃতি এলাকায় বাজারে গেলে দেখা যাবে ছোট ইলিশ ঝুড়িতে সাজিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। মৎস্য দফতর বহু বছর আগেই ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করে। কারণ হিসেবে দফতরের আধিকারিকেরা জানান, সমুদ্র থেকে নদীর জলে ইলিশ বর্ষাকালে ডিম পাড়তে আসে। সেই ডিম থেকে বাচ্চা হওয়ার পরে সেগুলি কয়েক মাসের মধ্যেই বেড়ে গিয়ে ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের হয়। ছোট অবস্থায় তারা সমুদ্রে ফিরতে পারে না। নদীতেই থাকে। ডিম পাড়তে আসা বড় ইলিশ ধরা পড়লে কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু ছোট ইলিশ ধরা হলে ইলিশের সংখ্যা কমতে বাধ্য। তাই ছোট ইলিশ ধরা বা বিক্রি করা নিষিদ্ধ।