আড়াই বছরের শিশুপুত্রকে সাইকেলে চাপিয়ে রোজই ঘুরতে যেতেন বাবা। সোমবার সকালেও তেমনই বেরিয়েছিলেন বাবা-ছেলে। গন্তব্য ছিল, বাড়ির কাছের দুধের দোকান। সেখানে পৌঁছে রাস্তার ধারে সাইকেল দাঁড় করিয়ে কেনাকাটা করতে যান বাবা। তখন শিশুটি একাই সাইকেলে বসেছিল। হঠাৎই সাইকেল উল্টে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় সে। তখনই পাশ দিয়ে যাওয়া এক লরির চাকা পিষে দেয় তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে এমনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল লিলুয়ার বিরাডিঙি মোড়ের কাছের বেনারস রোড।
পুলিশ জানায়, এ দিনের দুর্ঘটনার বলি ওই শিশুর নাম পলাশ হালদার। বাবা প্রিয়নাথ হালদার ও মা সরস্বতীদেবীর একমাত্র সন্তান সে। বাড়ি স্থানীয় সিটিআই এলাকার ভারতমাতা লেনে। সেখান থেকেই এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বাবার সাইকেলে চড়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল ছোট্ট পলাশ।
স্থানীয় দোকানদারেরা জানিয়েছেন, প্রিয়নাথবাবু ছেলেকে নিয়ে ঘোরার জন্য সাইকেলে ছোট একটি সিট লাগিয়েছিলেন। এ দিন দুর্ঘটনার সময়ে নিজের সেই ছোট্ট সিটেই একা বসে ছিল পলাশ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় চায়ের দোকানের কর্মী রমেশ পাত্র বলেন, “একটি সাইকেল পড়ে যাওয়ার শব্দ হল। এর পরেই দেখি পাশ দিয়ে যাওয়া একটি লরির ডান দিকের পিছনের চাকা পিষে দিয়েছে কিছুক্ষণ আগে সাইকেলে বসে থাকা শিশুটিকে।” এই দৃশ্য দেখেই এলাকার বাসিন্দা ও পথচারীরা চিৎকার করে তেড়ে যান লরিটির দিকে। কিন্তু ঘটনার গুরুত্ব বুঝে গতি বাড়িয়ে লরি নিয়ে সালকিয়ার দিকে পালিয়ে যায় চালক।