Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

চাইলেও মেলেনি থানার জমি

কয়েকদিন আগের ঘটনা। এক ছাত্রীকে কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে আমতা থানা এলাকার মানিকারা গ্রামে। অথচ গোলমাল মেটাতে যেতে হয় উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিশকে গিয়ে।

নুরুল আবসার
উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০৩:১৯
Share: Save:

কয়েকদিন আগের ঘটনা। এক ছাত্রীকে কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে আমতা থানা এলাকার মানিকারা গ্রামে। অথচ গোলমাল মেটাতে যেতে হয় উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিশকে গিয়ে। কারণ, ঘটনাস্থল থেকে আমতা থানার দূরত্ব এতটাই যে, তাদের পক্ষে সময়ে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি।

শুধু এটা নয়, একাধিক ঘটনায় একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। সমস্যা মেটাতে উদয়নারায়ণপুরের পেঁড়োতে একটি নতুন থানা গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। পেঁড়োতে উদয়নারায়ণপুর থানার একটি ফাঁড়ি আছে। বসন্তপুরে আছে আমতা থানার ফাঁড়ি। কিন্তু এগুলি কার্যত ঢাল তরোয়ালহীন ‘নিধিরাম সর্দার’ ছাড়া কিছু নয়। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। বড় ঘটনার মোকাবিলা করা যায় না ফাঁড়ি দিয়ে। অভিযোগ নেওয়ারও ব্যবস্থা নেই।

মানিকারা গ্রামে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান আছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অনেক সময়ে মদ খেয়ে কলেজের ছাত্রীদেরও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগও উঠেছে। দিন কয়েক আগে তা নিয়ে উত্তেজনাও ছড়ায়। গ্রামবাসীর অভিযোগ, আমতা থানায় খবর দেওয়া হলেও পুলিশ আসেনি। জেলা পুলিশ (গ্রামীণ) সূত্রে খবর, দূরত্বের কারণেই আমতা থানার পুলিশের পৌঁছতে দেরি হয়। তুলনায় কাছে উদয়নারায়ণপুর থানা। তারই ওসি ঘটনাস্থলে যান। অভিযুক্ত দু’জন যুবককে গ্রেফতার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বাসিন্দাদের বক্তব্য, পেঁড়োর থানা চালু হলে সমস্যা অনেকটা দূর হতো। জেলা (গ্রামীণ) পু‌লিশ সূত্রে খবর, আমতার পাঁচ, উদয়নারায়ণপুরের দুই এবং জগৎবল্লভপুরের একটি মোট আটটি পঞ্চায়েত নিয়ে পেঁড়ো থানা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। নতুন থানা হয়ে গেলে পেঁড়ো এবং বসন্তপুরের দুটি পুলিশ ফাঁড়ি তুলে দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু কোথায় কী?

সমস্যা কোথায়?

জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সূত্রে খবর, যে জমিতে থানার ভবন তৈরি হবে তা স্বরাষ্ট্র দফতরের হাতে। এখনও আইনানুগভাবে তাদের হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে শুরু করা যাচ্ছে না নির্মাণকাজ। উদয়নারায়ণপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে থানা ভবন হবে তা খাস জমি। ওই জমি স্বরাষ্ট্র দফতরকে দেওয়ার জন্য জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারাই। দফতরের এক আধিকারিক জানান, জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। শীঘ্রই তা জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জমি পেলেই থানার ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police station District
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE