হুগলির নানা প্রান্তে খুন-জখম লেগেই রয়েছে। দিন কয়েক আগেই গুপ্তিপাড়ায় রাস্তায় যে ভাবে ‘গ্যাং-ওয়ার’ হয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক বেড়েছে। শুক্রবার সেই গুপ্তিপাড়াতে এসেই জেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্নে রাজ্য সরকারকে দুষলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘হুগলিতে খুন, তোলাবাজি, লুঠপাট প্রতিদিনের ঘটনা। এখানে আইনের শাসন নেই। পুলিশ কী করবে?’’
জেলা বিজেপির ডাকে এ দিন দুপুরে হুগলিতে এসে প্রথমে ত্রিবেণী টিস্যু কারখানা গেটে পথসভা করেন দিলীপবাবু। তার পরে গুপ্তিপাড়া রথের সড়ক ময়দানে সভা হয়। সেখানে এই জেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ছাড়াও কর্মসংস্থান না-হওয়া এবং ভাবাদিঘি নিয়েও শাসকদলকে বেঁধেন ওই বিজেপি নেতা।
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল সংযোগের ক্ষেত্রে গোঘাটের ভাবাদিঘি-জট কিছুতেই কাটছে না। রেল ওই দিঘির একাংশ বুজিয়ে লাইন পাততে চায়। কিন্তু জীবন-জীবিকার প্রশ্ন তুলে গ্রামবাসীরা এতে আপত্তি তুলেছেন। তাঁরা চান, দিঘির উত্তরপাড়ের জমি দিয়ে রেললাইন পাতা হোক। এই টানাপড়েনেই ভাবাদিঘিতে থমকে রয়েছে প্রকল্পের কাজ। আর এ জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন আন্দোলনকারীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘ভাবাদিঘিতে রেল করতে চাইনি আমরা। ওটা নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প! তাই ওখানে ২৫০ লোকের রুটিরুজি নষ্ট করে রেললাইন পাততে হবে। আমরা তা হতে দেব না। আগে বলেছিল, ওই দিঘির পাশ দিয়ে রেললাইন যাবে। এখন বলছে লাইন পাততে ২০ বিঘে দিঘির ক্ষতি হবে। ওই রেললাইন পাততে দেব না।’’
কর্মসংস্থানের প্রশ্নে যথারীতি সিঙ্গুরে টাটাদের গাড়ি কারখানা না হওয়ার জন্য শাসকদলকেই দুষেছেন দিলীপবাবু। বিজেপি শাসিত গুজরাত কী ভাবে এগিয়ে চলেছে, সে উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘শিল্পপতিরা আসবেন এখানে? শিল্পপতিরা বুঝছেন, ওরা ঝান্ডাবাজি করবে। কারখানার কাজ করবে না। তাই শিল্পপতিরা এখন অন্য রাজ্যমুখী।’’