বাড়ির পাশের বাগানের একটি গাছ থেকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক চাষির ঝুলন্ত মৃতদেহ মিলল। শুক্রবার রাতে পাণ্ডুয়ার ভায়েরা গ্রামের মসজিদতলার বাসিন্দা মনসুর আলি (৫৮) নামে ওই চাষির দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। একই কথা জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরাও। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনসুর নিজের সামান্য জমিতে চাষাবাদ করে সংসার চালাতেন। তাঁর তিন ছেলে এবং এক মেয়ে। কয়েক মাস আগে মেজো বউমা তাঁর স্বামী এবং মনসুরের বিরুদ্ধে বধু নির্যাতনের মামলা করে। সেই অভিযোগে পুলিশ মনসুর ও তাঁর মেজো ছেলেকে গ্রেফতার করে। তাঁদের হাজতবাসও করতে হয়। সম্প্রতি জামিন পেয়ে বাবা-ছেলে বাড়ি ফেরেন। এর পরে মনসুরের কাছে তাঁর মেজো বউমা নগদ টাকা, জমি এবং একটি পাকা বাড়ির দাবি করেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে অশান্তি চলছিল। মৃতের স্ত্রী হামিদা বিবি বলেন, ‘‘মেজো বউমা যা চাইছিল তা স্বামীর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না। চাষের জন্য কিছু দেনাও ছিল। তার উপরে হাজতবাসের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।’’
মন্দিরে গুলি। মন্দিরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল বর্ধমানের কাটোয়ার ক্ষ্যাপা কালী মন্দিরে। শনিবার দুপুরের ঘটনা। এ দিন দুপুরে মন্দিরে দৈনন্দিন ভোগ বিতরণের সময় মোটরবাইকে করে এসে দুই যুবক গুলি চালায়। কেউ হতাহত হননি। ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মন্দির কমিটির সম্পাদক শ্যামল ঘোষ জানান, স্থানীয় চাউল পট্টির বাসিন্দা অরিন ঘটক, দেবা সাইন নামে দুই যুবকের নামে অভিযোগ করা করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রণয়ঘটিত সর্ম্পকের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দুই যুবক পলাতক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy