পাড়ায় একটি খুনের ঘটনা ঘটলেও তাকে সন্দেহের চোখে দেখার অবকাশ ছিল না পড়শিদের। আর সকলের মতোই দিব্যি এলাকার ঘোরাফেরা করছিলেন প্রতিবেশী ওই যুবক। কিন্তু, রবিবার সাতসকালেই তাকে ওই খুনের মূল অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনায় চোখ কপালে ব্যাঁটরা থানা এলাকার কালাচাঁদ নন্দী লেনের বাসিন্দাদের। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ দাস।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২ সেপ্টেম্বর কালাচাঁদ নন্দী লেনে নিজের বাড়ির বাথরুম থেকে গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় প্রতিমাশিল্পী দুলাল নন্দীর (৫৫)। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না দুলালবাবুর স্ত্রী শম্পা নন্দী বা তাঁদের একমাত্র মেয়ে স্বর্ণালী। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এ দিন পাড়ারই এক যুবক বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করেছে। তবে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ঘটনার পরে তাঁদের সঙ্গে গল্পগুজব করে কাটিয়েছে বিশ্বজিৎ। ফলে তাকে সন্দেহ করার মতো কোনও কারণ ছিল না। পুলিশও জানিয়েছে, গ্রেফতারের পরেও তার আচরণে বিশেষ কোনও পরিবর্তন দেখা দেয়নি। ভেঙে পড়া তো দূরের কথা, বরঞ্চ বেশ স্বাভাবিক ভাবেই কথাবার্তা বলছেন তিনি। যাতে বিস্মিত পুলিশের কর্তারাও।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, অবৈধ সম্পর্কের জেরেই খুন হতে হয়েছে দুলালবাবুকে। তবে তদন্তে নেমে সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই প্রতিমাশিল্পীকে রীতিমতো পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে।