Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
general-election-2019-vote-colour

স্ট্রবেরি সিপিএম, পেস্তা তৃণমূলে মিঠা নির্বাচন

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধোঁয়া দিতে আসরেও নেমেছে মিষ্টি। গোল গোল ক্ষীরমাখা মিষ্টি বুকে ধরে রেখেছে ‘চিহ্ন’— কোনটায় পদ্ম, কোনটায় জোড়াফুল, কারও আবার কাস্তে হাতুড়ি, কারও হাত।

নানা রঙের মিষ্টি। নিজস্ব চিত্র

নানা রঙের মিষ্টি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রিষড়া শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০১:৩১
Share: Save:

ভোটের মুখে ‘নকুলদানা’ বিলি করার কথা বলছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সে ‘নকুলদানা’-র অবশ্য ভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিকদের একাংশ। তৃণমূল নেতার সে সব বক্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশও ঠুকেছেন বিরোধীরা। তাতে কী? মিষ্টির সঙ্গে কারও বিরোধ নেই— তাও মানছেন সব দলের নেতারাই।

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধোঁয়া দিতে আসরেও নেমেছে মিষ্টি। গোল গোল ক্ষীরমাখা মিষ্টি বুকে ধরে রেখেছে ‘চিহ্ন’— কোনটায় পদ্ম, কোনটায় জোড়াফুল, কারও আবার কাস্তে হাতুড়ি, কারও হাত। রিষড়ার এক প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ভোটে নিয়ে এসেছেন এমনই হরেক রকমের মিষ্টি। স্বাদেও দেদার বৈচিত্র্য।

দুর্গাপুজো, ভাইফোঁটা থেকে শুরু করে পয়লা বৈশাখ— বাঙালির প্রতিটি উৎসবেই নতুন কিছু নিয়ে হাজির মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী। সবে মিটেছে দোল উৎসব। সামনে নববর্ষ, তারপর জামাই ষষ্ঠী।সঙ্গে সঙ্গে চলবে বিয়ের অনুষ্ঠান। আর তারই মাঝে আর এক উৎসব— ‘ভোট’। সেখানেও জমিয়ে ব্যবসা করে নিতে তৈরি তাঁরা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ওই মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার অমিতাভ দে বলেন, ‘‘ক্রেতাকে নতুন কিছু উপহার দিতেই এই পরিকল্পনা। ৩০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের মিষ্টি মিলবে। দাম ৩০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা— ক্রেতা যেমন চাইবেন, তেমনই।’’ সিপিএমের লাল রং-এ মিশছে স্ট্রবেরির স্বাদ। তৃণমূলের জন্য বরাদ্দ হয়েছে পেস্টা-বাদাম। বিজেপি

অবশ্যই কেশর রঙে রাঙা। কংগ্রেসের জন্য সাদা ক্ষীরের সন্দেশে থাকছে বাদামের মিশেল। শুধু তাই নয়, ভোট রঙ্গের এই মিষ্টি খেতে পারবেন ডায়াবেটিসে আক্রান্তরাও— জানিয়েছেন অমিতাভ।

মিষ্টির রসে মজেছেন নেতারাও। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গত এক সপ্তাহ ধরেই প্রচার সারছেন দোলের আবহে। মিষ্টি কথা জেনে তিনি খুশি। বলেন, ‘‘আমি তো মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসি। দলীয় প্রতীক আঁকা মিষ্টি পেলে তো দারুন হবে। তা ছাড়া, ভোট মানে তো গণতন্ত্রের উৎসব। বাঙালির কোনও উৎসব কি মিষ্টি ছাড়া সম্পন্ন হয় নাকি!’’ মিষ্টি নিয়ে ছুঁৎমার্গ নেই সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষেরও, ‘‘মিষ্টির আবার দলাদলি কী? তবে ভোটের মুখে এ সব এক ধরনের মজাও। গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলেও মুখমিষ্টি হওয়া জরুরি।’’

তবে দোকানি বলছেন অন্য কথা। ‘‘সমঝদার ক্রেতার কাছে প্রতীক নয়, স্বাদই আসল। তবে হ্যাঁ, অনেকেই চোখের আকর্ষণে আকৃষ্ট হচ্ছেন বটে,’’ জানালেন অমিতাভ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Sweets
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE