হাওড়া জেলায় মেয়েদের স্কুল এবং কো-এড স্কুলগুলিতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে উদ্যোগী হয়েছে শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং যন্ত্র বসানো হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১০০টি স্কুলে যন্ত্রটি বসানোর তোড়জোড় চলছে। জেলায় মেয়েদের এবং কো-এড মিলিয়ে স্কুলের সংখ্যা প্রায় তিনশো। টাকা এলে বাকি ৫০টি স্কুলেও ওই যন্ত্র বসানো হবে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে জেলা সর্বশিক্ষা বিভাগ। ওই বিভাগের এক কর্তা জানান, সব স্কুলের জন্য টাকা একেবারে আসেনি। যখন যেমন টাকা এসেছে, তার ভিত্তিতে যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে যে সব স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি পর্যায়ক্রমে সেগুলিকেই যন্ত্র বসানোর জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ভেন্ডিং যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু হয়েছে অগস্ট মাসে। একটি পাঁচ টাকার কয়েন বা পাঁচটি এক টাকার কয়েন ভেন্ডিং যন্ত্রে ফেললেই তিনটি ন্যাপকিনের একটি প্যাকেট বেরিয়ে আসবে।
তবে, যে স্কুলগুলিকে প্রথম পর্যায়ে এই যন্ত্র দেওয়া হয়েছে, সেখানকার কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ইতিমধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেমন, বাগনানের মুগকল্যাণ বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, অগস্ট মাসে দেওয়া সব ন্যাপকিন শেষ হয়ে গেলেও তা ফের মেলেনি। ভেন্ডিং যন্ত্র শূন্য। ফলে, ছাত্রীরা সমস্যায় পড়ছে।