মাস্টারমশাই নন। প্রশ্নকর্তার ভূমিকায় পান্ডুয়া থানার এক পুলিশ কর্তা। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তোমরা যারা ব্লু হোয়েলের নাম শুনেছ হাত তোল?’’ পড়ুয়াদের অনেকেই হাত তুলল।
সম্প্রতি ‘ব্লু হোয়েল’ খেলা নিয়ে এ রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হাও়ড়া, হুগলিতে কয়েকজন পড়ুয়াকে ‘ব্লু হোয়েল’ খেলার মাঝপথে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাধারণত, মোবাইলে অজানা নম্বর থেকে একটি ‘লিঙ্ক’ আসে। তাতে চাপ দিতেই ওই খেলাটি ‘ইনস্টল’ হয়ে যায়। তার পর খেলা চলে ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের’ নির্দেশমতো। রয়েছে ৫০টা ‘চ্যালেঞ্জ’ বা ধাপ। সবচেয়ে শেষ ধাপ হল আত্মহত্যা।
পড়ুয়াদের মধ্যে এই বিপজ্জনক খেলার প্রতি আসক্তি রয়েছে কি না, সেটি জানতেই গল্পের ছলে পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে পান্ডুয়া থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাধারানি গালর্স স্কুলে পড়য়াদের নিয়ে শিবির হয়। শুক্রবার শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয় ও মুজিবর রহমান হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সচেতন করে পুলিশ। এই দু’টি স্কুলে অবশ্য পড়ুয়াদের ডাকা হয়নি। তিনটি স্কুলেই ছিলেন পান্ডুয়া থানার ওসি সুমন রায়চৌধুরী। ‘ব্লু হোয়েল’ নিয়ে সাবধান করে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেটও বিলি করা হয়।