শিল্পীর কল্পনায়। —নিজস্ব চিত্র।
পাল্টে যাচ্ছে হাওড়া। শুরু হয়েছে সৌন্দর্যায়ন। রাস্তার পাশে তৈরি হচ্ছে পার্ক, আইল্যান্ড এবং বুলেভার্ড। প্রাথমিক ভাবে বাছা হয়েছে গঙ্গার তীর ঘেঁষা, ফোরশোর রোড ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত ড্রেনেজ ক্যানেল রোডকে। পরে অন্যান্য বড় রাস্তারও সৌন্দার্যায়ন হবে বলে হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর।
কয়েক মাস আগে হাওড়া পুরসভায় রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়। বোর্ড দখল করার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ার উন্নয়নে ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। এর পরেই শুরু হয়েছে কর্মযজ্ঞ।
যে সব পথ কয়েক মাস আগেও ছোট বড় গর্তে ভরা থাকত সে পথে পড়েছে পুরু পিচের প্রলেপ বা ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট। যে রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো ছিল না, সেই রাস্তার দু’পাশে এখন ত্রিফলার সাদা আলো। আগে যে সব গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পর্যাপ্ত আলো ছিল না সেখানে বসেছে পাঁচমুখী উজ্জ্বল হাইমাস্ট। হাওড়ার প্রতিটি রাস্তার দু’পাশে দেওয়া হয়েছে সাদা মার্কার, রোড ডিভাইডার, রোড ইন্ডিকেটর। হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে বসেছে আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা ও সিসিটিভি।
হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, ফোরশোর রোড ও ড্রেনেজ ক্যানেল রোড আগেই মেরামত করে রাস্তার পাশে ত্রিফলা লাগানো হয়েছে। ফোরশোর রোডের দু’পাশের পাঁচিল আকাশি সাদা রঙ করা হয়েছে। বসানো হচ্ছে পেভার ব্লক। হাওড়া পুরসভার পার্ক ও গার্ডেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ বিভাস হাজরা জানান, গঙ্গার ধার ঘেঁষা ফোরশোর রোডের ধারে একটা আর্ন্তজাতিক মানের ‘সিগনেচার পাকর্’ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি বহুজাতির সংস্থা কাজটি করবে।
বিভাসবাবু বলেন, “হাওড়া শহরের বহু রাস্তার পাশে বেআইনি দখলদার ও আবর্জনা পথের দৃশ্যদূষণ ঘটায়। তাই প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। এই কাজ শুরু হয়েছে বেলেপোল মোড় থেকে চ্যাটার্জিপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায়ও।”
পুরসভা সূত্রে খবর, ওই দ্বিমুখী রাস্তার মোড়গুলিতে আইল্যান্ড তৈরি হবে। ডিভাইডার উঁচু করে বাহারি গাছ বসান হবে। আইল্যান্ডগুলিতে থাকবে নানা মডেল, ফোয়ারা। বসানো হবে মহাত্মা গাঁধী, রবীন্দ্রনাথ, সুকাম্ত, চিকিৎসক ভোলানাথ চক্রবর্তীর মূর্তি। প্রতিটি আইল্যান্ডে থাকবে আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
পুরসভা সূত্রে খবর, ডিভাইডার ও আইল্যান্ডের বেশ কিছু অংশ বেআইনি ভাবে দখল হয়ে গিয়েছে। দখলদারদের হটিয়ে দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে ফুটপাথ তৈরি করা হবে। এ জন্য ফুটপাথও দখলমুক্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy