দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার চাঞ্চল্য ছড়ায় গুপ্তিপাড়ার গোসাইবাগান এলাকায়। এ দিন রাতে ফুলেশ্বরী বাগ (২৬) নামে এক বধূর গলায় দড়ি দেওয়ার অবস্থায় তাঁর ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার কিছু পরেই এলাকারই একটি আমবাগানে গাছে গলায় দড়ি দেওয়া অবসস্থায় উদ্ধার হয় গোপাল দলুই (২৮) নামে এক যুবকে দেহ। দু’টি দেহই ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। পুলিশের অনুমান বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই জোড়া আত্মহত্যা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গোসাইবাগান এলাকার বাসিন্দা গৃহবধু ফুলেশ্বরী দেবীর সঙ্গে গোপালবাবুর দীর্ঘদিন ধরে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে দুই পরিবারে অশান্তিও চলছিল। গোপালবাবু দিনমজুরের কাজ করতেন। গত রবিবার রাতে ফুলেশ্বরী দেবীর বাড়িতে ফের এই নিয়ে অশান্তি হয়। সোমবার তা চরমে ওঠে। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ফুলেশ্বরী দেবী স্বামী-পুত্রের না থাকার সুযোগে বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা গোপালবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর খোঁজ পাননি। পরে ফুলেশ্বরী দেবীর বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় আমবাগানে একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করে। তবে কী কারণে দু’জনে আত্মঘাতী হলেন সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি দুই পরিবারের কেউই। পুলিশের অনুমান বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই দুজন আত্মঘাতী হয়েছেন। ফুলেশ্বরী দেবীর স্বামী উত্তম বাগ বলেন, ‘‘আমি কাজে বাইরে ছিলাম। প্রতিবেশীরা আমাকে খবর দেন। মাঝেমধ্যেই পারিবারিক অশান্তি হত। কিন্তু ফের ঠিক হয়ে যেত। তারপেরও কী কারণে ও আত্মঘাতী হল বুঝতে পারছি না।’’ মৃত গোপালবাবুর দাদা নেপালবাবু বলেন, ‘‘কী কারণে আত্মহত্যা করল জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy