একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অর্জুন সোমবার বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে একটা স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। শিল্পপতি এবং শ্রমিক সংগঠনদের সদস্যদের নিয়ে ওঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। কিন্তু ওঁকে কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছে না।’’ অর্জুনের দাবি, বস্ত্রমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, পাটের বদলে কেন্দ্র প্লাস্টিক কিনে নেবে।
প্রয়োজনে জুট বোর্ড ঘেরাও করে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংসদ। ফাইল ছবি
পাটের দামের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বাংলার পাটশিল্প। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের দাবি, বিষয়টি নিয়ে তিনি একাধিক বার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অর্জুনের অভিযোগ। এ বার পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রের ‘উদাসীনতা’র বিরুদ্ধে পথে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। পাশাপাশি, বিষয়টিতে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন।
একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অর্জুন সোমবার বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে একটা স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। শিল্পপতি এবং শ্রমিক সংগঠনদের সদস্যদের নিয়ে ওঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। কিন্তু ওঁকে কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছে না।’’ অর্জুনের দাবি, বস্ত্রমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, পাটের বদলে কেন্দ্র প্লাস্টিক কিনে নেবে।
কেন্দ্র এই ‘অনড় মনোভাব’ থেকে যদি সরে না আসে তবে অর্জুন পথে নামবেন বলে ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে জুট বোর্ড ঘেরাও করে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংসদ। সমস্যার সমাধানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হস্তক্ষেপ করতে হবে বলে মনে করেন অর্জুন।
নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধে যে ভাবে পাট শিল্প নিয়ে সুর চড়া করেছেন তাতে প্রশ্ন উঠছে তিনিও কি এ বার ‘বেসুরো’ হতে শুরু করেছেন? অর্জুন অবশ্য এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘বিষয়টা আমি দলেও জানিয়েছি। আমার এই প্রতিবাদ দল ভাল ভাবে নেবে কি নেবে না, সেটা কোনও বিষয় নয়। আমাকে মানুষ সাংসদ করে পাঠিয়েছেন। আমি সেখানে তাঁদের কথা বলব না!’’ অর্জুনের দাবি, দলেও তিনি বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ১৪টি জুটমিল বন্ধ হয়েছে। আরও ১০টি বন্ধ হয়ে যাবে। পাটশিল্পের সঙ্গে আড়াই কোটি মানুষ জড়িত। ৪০ লক্ষ চাষি রয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েও লাভ হয়নি।’’
অর্জুনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘চা-শিল্পের মতো বাংলার পাটশিল্পও রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সামগ্রিক ভাবে উদ্যোগ নিলে সমস্যা মিটবে।’’
দিলীপের আরও মন্তব্য, ‘‘আমাদের শ্রমিক সংগঠনও এর আগে বহু বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। অর্জুনদা অনেক দিন ধরে পাটশিল্প নিয়ে কাজ করছেন। তাই তিনি এই দাবিতে সরব হয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy