বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পুনর্বহালের আবেদন প্রত্যাহার করার অনুমতি চাইল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই সংক্রান্ত তিনটি আবেদন প্রত্যাহার করার অনুমতি চেয়ে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় কমিশন। কিন্তু সব দিক খতিয়ে না দেখে আবেদনপত্র প্রত্যাহার করার অনুমতি দিতে চাননি বিচারপতি। এই প্রসঙ্গেই কমিশনের তীব্র সমালোচনা করে তিনি দাবি করেন, কমিশনকে সামনে রেখে নেপথ্যে কেউ কেউ অযোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে চাইছেন। রাজ্যের কিছু ‘দালাল’ মুখপাত্র এবং মন্ত্রীর প্রতিও ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “আমি কিছু দালাল, যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত এবং কিছু মন্ত্রীর নাম বলতে পারি, যাঁরা প্রকাশ্যে বলেছেন কারও চাকরি যাবে না।”
গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই আবেদনপত্রগুলি দাখিল করেছিল কমিশন। বিচারপতির দাবি, এগুলি বেনামী আবেদন। কমিশনকে সামনে রেখে কেউ কেউ খেলছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এর পরই কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, আপনাদের আবেদনে আপনারা লিখেছেন যে, পদচ্যুত শিক্ষকরা ২ থেকে ৪ বছর চাকরি করছেন এবং এদের বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। আপনি কি জানেন এই অভিযোগ জানানোর কোনও সংস্থান আছে কি না ? যদি না থাকে, তা হলে কোথায় অভিযোগ জানানো যাবে?”
কমিশনকে অভিযোগপত্র লিখতে বাধ্য করার প্রসঙ্গে কমিশনের আইনজীবী বলেন, “আদালতের সামনে যা তথ্য বা নথি পেশ করা হবে, আইনজীবী হিসাবে তার দায়িত্ব আমার।” কিন্তু এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দেন, আবেদনপত্র দাখিল করার সময় যে ফাইল তৈরি হয়েছিল, সেই ফাইল আদালতে পেশ করতে হবে। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি জানান, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির মাধ্যমে অযোগ্যদের চাকরি পেতে তিনি দেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy