বর্ষায় শহরের পথ। — ফাইল চিত্র
জোরালো বর্ষায় কলকাতার হাল চেন্নাইয়ের মতো হবে কি না, তা এ বার খতিয়ে দেখতে চান ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (আইএসআই)-এর গবেষকেরা। এই প্রকল্পে তাদের সঙ্গী হচ্ছে আবহাওয়া দফতর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্যের সেচ দফতর। শনিবার আইএসআই-এ বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা গবেষক প্রসূন দাস জানান, খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকারের কাছে এ ব্যাপারে খসড়া জমা দেওয়া হবে। আগামী আর্থিক বছর থেকে কাজটি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জলবায়ু বদলের জেরে আবহাওয়ার মতিগতি বদলাচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা আইপিসিসি-র রিপোর্ট বলছে, সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বাড়ার পাশাপাশি বর্ষার ছন্দপতন ঘটবে। কখনও অনাবৃষ্টি হতে পারে, কখনও বা অতিবৃষ্টি। গত নভেম্বরে তেমনই জোরালো বর্ষায় ভেসে গিয়েছিল চেন্নাই। পরিবেশবিদদের অনেকের মতে, অতিবৃষ্টি তো বটেই, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও জলাভূমি কমাতেই বিপর্যয় বেড়েছিল চেন্নাইয়ে। অল্প সময়ের মধ্যে জোরালো বৃষ্টি হলে কলকাতার ক্ষেত্রে তেমন বিপর্যয়ের আশঙ্কা কতটা, তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও সমীক্ষা হয়নি বলেই দাবি পরিবেশবিদদের একাংশের।
আবহাওয়াগত নানা বিপর্যয়ের পূর্বাভাসের ব্যবস্থা আগের থেকে উন্নত হলেও তা এখনও যথেষ্ট নয় বলেই মনে করেন অনেকে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য কাজ করছেন তাঁরা। পরিবেশবিদদের অনেকে বলছেন, জলবায়ু বদলের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য বাড়ছে। ফলে তা বিশ্লেষণ করা জটিল হয়ে পড়ছে। এই প্রকল্পের জন্য বিশেষ একটি সফ্টওয়্যার তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পের অন্যতম গবেষক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গণিত, রাশিবিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞান— এই তিন বিষয়ের মেলবন্ধনে তৈরি সফ্টওয়্যার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এলাকার নির্দিষ্ট বিপদ চিহ্নিত করতে পারবে। তার ফলে বিপর্যয়ের মোকাবিলাও অনেক সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy