প্রতিবেশীর ফাঁকা বাড়ি পাহারা দিতে সেখানে ঘুমোতে গিয়েছিলেন তিনি। আর গভীর রাতে ওই বাড়িতেই ঢুকে পড়ল ডাকাতেরা। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে গলায় চপার ঠেকিয়ে আলমারির চাবি চাইলে বাগুইআটির রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা শম্পা সাহা তাদের জানান, ওই বাড়ির মালকিন পুরী বেড়াতে গিয়েছেন। চাবি রয়েছে তাঁর কাছেই। তিনি শুধুই সেখানে ঘুমোতে এসেছেন। সে কথা অবশ্য বিশ্বাস করেনি ডাকাতেরা। শাবল ঢুকিয়ে তারা আলমারির দরজা বেঁকিয়ে দেয়, তার পরে লুঠপাট চালায়। যাওয়ার আগে শম্পাদেবীরও হার, দুল, আংটি, চুড়ি ছিনিয়ে নেয় তারা। বাগুইআটির এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। শনিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য দুষ্কৃতীদের কারও হদিস পায়নি পুলিশ।
এ দিকে, শনিবার দুপুরে লালবাজারের অদূরে নেতাজি সুভাষ রোডে একটি অফিসে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। তবে সেটি ঘিরে কিছু প্রশ্নও রয়েছে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ওই অফিসের কর্মীদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পরে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছেন তাঁরা।
বাগুইআটির রবীন্দ্রপল্লির যে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সেটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। শনিবার শম্পাদেবীর স্বামী রণজিত্ সাহা বলেন, “প্রতিবেশী কৃষ্ণা সাহার পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাঁরা কোথাও গেলে আমি বা আমার স্ত্রী রাতে ওই বাড়িতে থাকি। এ বার স্ত্রী ওই বাড়িতে ছিলেন।” শম্পাদেবী বলেন, “রাত আড়াইটে নাগাদ দরজায় শব্দ হতেই ঘুম ভেঙে যায়। দেখি শোয়ার ঘরের ছিটকিনি ভেঙে তিন জন ঢুকে পড়েছে। প্রত্যেকের মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা।” তিনি পুলিশকে জানান, ডাকাতেরা তাঁর মাথায় চপার ধরে আলমারির চাবি চায়। বন্দুক দেখিয়ে বলে, চাবি না দিলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে। চাবি তাঁর কাছে নেই জানালেও আলমারির দরজা বেঁকিয়ে ডাকাতেরা লুঠপাট চালায় বলে জানান শম্পাদেবী। তিনি জানান, এর পরে ডাকাতেরা বলে তারা পাশের বাড়িতে ডাকাতি করতে যাচ্ছে। তিনি চিত্কার করলে বোমা মেরে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে। যদিও আর কোনও বাড়িতে হানা দেয়নি ডাকাতদলটি।