সন্ধ্যা সাতটা। হঠাত্ কলিং বেল বাজল দত্তবাবুর ফ্ল্যাটে। দরজা খুলতেই ঢুকলেন এক যুবক। এক হাতে মুদি দোকানের থলে। দত্ত-গিন্নি নিজের ডেবিট কার্ডটা এগিয়ে দিলেন। সেই যুবক ব্যাগ থেকে বার করলেন একটি ওয়্যারলেস কার্ড সোয়াইপ যন্ত্র। সেই যন্ত্রেই কার্ড ঘষে নিয়ে যুবক বিল ধরিয়ে দিলেন দত্ত-গিন্নির হাতে!
নগর-জীবন বদলাচ্ছে বহু দিন ধরেই। নিত্যনতুন গজিয়ে ওঠা ফ্ল্যাটবাড়িতে বাড়ছে ছোট ছোট পরিবারের সংখ্যা। সেগুলির কোনওটিতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চাকুরে। কোনও পরিবারে আবার বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একা থাকেন। ছেলেমেয়ে কর্মসূত্রে বাইরে। এঁরা কেউই রোজ রোজ দোকান-বাজারে যেতে পারেন না। অনেক পরিবারে রয়েছেন প্রতিবন্ধীরাও। তাঁদেরও একই সমস্যা। সেই কারণেই বাড়ছে হোম ডেলিভারির চাহিদা। আর বদলে যাওয়া এই সময়ে হোম ডেলিভারি পরিষেবাকে আরও কিছুটা উন্নত করতেই আমদানি করা হয়েছে এই ওয়্যারলেস কার্ড সোয়াইপ যন্ত্র, জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
দোকানে অনেকেই এখন আর নগদ টাকা নিয়ে যান না। জিনিস কেনার পরে কার্ড এগিয়ে দেন। কিন্তু হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে সেটা একটু সমস্যার ছিল। কারণ, কার্ড সোয়াইপ যন্ত্রগুলির সঙ্গে তারের সংযোগ থাকত। ফলে সেগুলি যেখানে সেখানে নিয়ে যাওয়া যেত না। কিন্তু হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে আবার খুচরো থাকা-না থাকা নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়। সেখানেই এই ওয়্যারলেস কার্ড সোয়াইপ যন্ত্রের উপযোগিতা।