আট বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের দায়ে মহম্মদ ইসমাইল নামে এক ব্যক্তিকে দশ বছরের সাজা দিল শিয়ালদহ আদালত। সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। শিয়ালদহের দ্বিতীয় অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জীমূতবাহন বিশ্বাসের নির্দেশ, জরিমানার এক লক্ষ টাকার ৯০ শতাংশ শিশুটিকে দিতে হবে। জরিমানার টাকা না দিতে পারলে ইসমাইলকে আরও এক বছর জেলে থাকতে হবে।
ঘটনাটিকে একটি দেবশিশুর উপরে জন্তুর হামলা বলে বর্ণনা করে বিচারকের মন্তব্য, পড়শিদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, ঘৃণা তৈরি হবে এমন দিন দূরে নেই।
আদালত সূত্রের খবর, ইসমাইল ও নিগৃহীত শিশুটি, দু’জনেই পটারি রোডের বাসিন্দা। ২০১২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে ইসমাইল ওই মেয়েটিকে
জোর করে নিজের বাড়ির দোতলার একটি ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটিকে ঘরে আটকেও রেখেছিল। পরে মেয়েটির বন্ধুরা তাকে দেখতে না পেয়ে ওই ঘর থেকে উদ্ধার করে। রাতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা হাসপাতালে নিয়ে যান এবং যৌন অত্যাচারের কথা জানা যায়। মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ইসমাইলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার গৌতম মোদক বিশদ তথ্যপ্রমাণ জোগা়ড় করে এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার প্রমাণ-সহ চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন। গোপন জবানবন্দিতেও অপরাধের কথা জানা গিয়েছিল। বিচার চলাকালীন অভিযুক্তকে আদালতের সামনে শনাক্তও করেছিল নিগৃহীত শিশুটি। এই রায়ের কপি কার্যকর করার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy