Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নতুন নৌকায় চেপে ফের মশা দমন বিধাননগরে

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল সংলগ্ন এলাকায় কয়েক মাস ধরে  মশার প্রকোপ রয়েছে। ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড়ে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। কিন্তু খালের অবস্থা শোচনীয়।

উদ্যোগ: বিধাননগরের খালে মশা মারার তেল ছড়াচ্ছেন পুরসভার কর্মীরা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

উদ্যোগ: বিধাননগরের খালে মশা মারার তেল ছড়াচ্ছেন পুরসভার কর্মীরা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৪২
Share: Save:

১০ মাস বাদে ফের খালে নৌকা নামিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করল বিধাননগর পুরসভা। ২০১৮ সালের জুলাই মাসের পর থেকে খালে থাকা নৌকার খোঁজ মিলছিল না। পুলিশের দ্বারস্থও হতে হয়েছিল পুরসভাকে। নৌকার অবশ্য খোঁজ মেলেনি। তাই প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে নতুন নৌকা কিনে খালে নামানো হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের দাবি।

কিন্তু শুধু কি নৌকার অভাবেই গত দশ মাস খালে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ হয়নি?

পুরসভার দাবি, নৌকা না থাকা অবশ্যই একটি কারণ। তবে কচুরিপানা, কাদা-মাটি, প্লাস্টিক-সহ আবর্জনায় ভরে গিয়েছিল খাল। ফলে জলের প্রবাহ বাধা পাচ্ছিল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছু অংশ ছাড়া খালে জল চোখে পড়েনি। ফলে নৌকা নামানো সম্ভব হত না বলে দাবি পুরসভা সূত্রের।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল সংলগ্ন এলাকায় কয়েক মাস ধরে মশার প্রকোপ রয়েছে। ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড়ে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। কিন্তু খালের অবস্থা শোচনীয়। জলের প্রবাহ নেই, কোথাও কচুরিপানা, কোথাও মাটি-কাদায় ভরে গিয়েছে খাল। সেখান থেকেই চার দিকে মশার প্রকোপ বাড়ছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, ওই খাল কার্যত মশার আঁতুড়ে পরিণত হয়েছে।

অভিযোগের কথা স্বীকার করে এক পুরকর্তা জানিয়েছিলেন, নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে খাল পরিষ্কারের আবেদন করা হয়েছিল। সেই মতো খাল পরিষ্কারের কাজ করেছে নগরোন্নয়ন দফতর। ফলে জলের প্রবাহ বেড়েছে। তাই এখন নৌকা নামানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা নেই। বিধাননগরে শুধু ইস্টার্ন

ড্রেনেজ চ্যানেলই নয়, কেষ্টপুর এবং বাগজোলা খালেও নৌকা নামিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছে বলে

দাবি পুরসভার।

স্থানীয় এক বাসিন্দা নীলাঞ্জন হাজরা জানান, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের কাছে খালে মেট্রোর স্তম্ভ তৈরির কাজ চলছে। ফলে সেখানে খাল এখন বন্ধ। শুধু মাত্র নিকাশিনালা থেকে পড়া জল এবং বৃষ্টির জলই ভরসা। তাঁর অভিযোগ, খালের জল এখন পাঁকযুক্ত। গরমকালেও যদি এমন থাকে, তবে মশা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ বছরের শুরু থেকেই করা হয়েছে। ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল পরিষ্কারের কাজ চলায় নৌকা নামানো যায়নি। সেই কাজ হয়ে যাওয়ায় নৌকা নামিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে মেট্রোর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত খালের ওই বন্ধ অংশ খুলবে না। বাকি যে অংশে জল রয়েছে, সেখানে তাই নিয়মিত মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হবে।’’

তবে বাসিন্দাদের দাবি, বর্ষা না আসা পর্যন্ত এই পরিস্থিতির বদল হবে না। তাঁদের আরও প্রশ্ন, ফের যে নৌকা বেপাত্তা হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? এ প্রসঙ্গে প্রণয়বাবু জানান, খালপাড়ে যে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে তেমন জায়গায় নৌকা রাখা হবে এবং লোহার শিকল দিয়ে সেটি আটকে রাখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bidhannagar Municipality Mosquito Boat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE