Advertisement
E-Paper

Birth and Death Certificate: এ বার বাড়িতে বসেই মিলবে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র, জানালেন মেয়র ফিরহাদ

আগামিদিনে কলকাতা পুরসভার সমস্ত কাজকর্মকে কাগজবিহীন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে অর্থ দিচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৩২
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ

এ বার কলকাতা পুরসভা এলাকায় বাড়িতে বসেই মিলবে জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র। পুরনিগমের এই পরিকল্পনার কথা শনিবার এক সংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

মেয়র জানান, আগামিদিনে কলকাতা পুরসভার সমস্ত কাজকর্মকে কাগজবিহীন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যেই পুরনিগমকে ৪১ কোটি টাকা দিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কী ভাবে এই অর্থ খরচ হবে তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ নিয়ে তিনি খুব শীঘ্রই মেয়র পারিষদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করবেন বলে মেয়র জানিয়েছে।

মেয়র ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমরা চাই, কোনও মানুষকে পরিষেবা পেতে আর যেন পুরসভার অফিসে আসতে না হয়। স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার দিয়েই নিজের পরিষেবার জন্য সাধারণ মানুষ আবেদন করতে পারবেন। সঙ্গে তাঁরা সেই মারফতই পরিষেবা পেয়ে যাবেন।’’ মেয়রকে পাল্টা প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়। প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করেন না, তাঁরা কী ভাবে পরিষেবা পাবেন? জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভাকে পেপারলেস করা হচ্ছে মানে এমনটা নয় যে, যাঁরা স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের ব্যবহার জানেন না, তাঁরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।’’

মেয়র জানিয়েছেন, প্রত্যেক বরো অফিসেই একটি করে বাংলায় সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। যেখানে এক জন পুরসভার কর্মী কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকবেন। সেখানে গিয়ে নিজের কথা বললেই পরিষেবা পাওয়া যাবে।

তবে শংসাপত্রের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার অন্যান্য বিভাগকেও কাগজবিহীন করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে হলে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হত। কিন্তু এই সমস্যা এড়াতে গত বছর একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করে কলকাতা পুরনিগম। ৮৩৩৫৯৯৯১১১ এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করলে জানা যায় কবে পাওয়া যাবে শংসাপত্র।

প্রসঙ্গত, কলকাতার কোনও বাসিন্দার শেষকৃত্য কলকাতার বাইরে কোনও শ্মশানে সম্পন্ন হলে সে ক্ষেত্রে অন্ত্যেষ্টির নথি এনে মৃত্যুর শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হয়। আবার তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ডেথ সার্টিফিকেটে ভুল নাম লেখার অভিযোগও ওঠে পুরসভার বিরুদ্ধে। পরে পুরসভায় গিয়ে ফর্ম পূরণ করে ড্রপবক্সে জমা দিয়ে নতুন সার্টিফিকেট নেওয়াই রেওয়াজ। কিন্তু সেই শংসাপত্র পেতে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। হোয়াটসঅ্যাপে পরিষেবা চালু হওয়ায় সেই হয়রানি কমে গিয়েছে বলেই দাবি পুর আধিকারিকদের

KMC birth certificate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy