Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পথে পড়ে নির্মাণের সামগ্রী, ক্ষোভ দমদমে

ফুটপাথ সাফাই হল, কিন্তু ইমারতি দ্রব্য বিপজ্জনক ভাবে পড়ে রইল সেখানে। শনিবার দক্ষিণ দমদম পুরসভা অভিযান চালিয়ে দমদম রোডের দু’ধারে ফুটপাথ ‘দখল’ করা দোকানপাট তুলে দিলেও ইমারতি সামগ্রী যেমন ছিল তেমনই পড়ে রইল রাস্তার ধারে। অথচ, মাসখানেক আগেই সেক্টর ফাইভের রাস্তায় বালিতে পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক মোটরসাইকেল-আরোহীর।

পথে বালির স্তূপ। —নিজস্ব চিত্র

পথে বালির স্তূপ। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০৩
Share: Save:

ফুটপাথ সাফাই হল, কিন্তু ইমারতি দ্রব্য বিপজ্জনক ভাবে পড়ে রইল সেখানে।

শনিবার দক্ষিণ দমদম পুরসভা অভিযান চালিয়ে দমদম রোডের দু’ধারে ফুটপাথ ‘দখল’ করা দোকানপাট তুলে দিলেও ইমারতি সামগ্রী যেমন ছিল তেমনই পড়ে রইল রাস্তার ধারে। অথচ, মাসখানেক আগেই সেক্টর ফাইভের রাস্তায় বালিতে পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক মোটরসাইকেল-আরোহীর। এর পরেই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাস্তার ধারে ইমারতি দ্রব্য রাখা যাবে না। দ্রুত তুলে ফেলতে হবে। ইমারতি দ্রব্যের জন্য দমদম রোডেও ইতিমধ্যেই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিক ভাবেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, নির্মাণ-সামগ্রী যদি রাস্তায় পরেই রইল, তা হলে পুর-সাফাই অভিযানের অর্থ কী?

স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ওই এলাকায় সিন্ডিকেটগুলির ক্রমাগত ‘বেপরোয়া’ হয়ে ওঠারই ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ঘটনা। আগে সিন্ডিকেটগুলি এলাকার ভিতরের দিকে বিভিন্ন পাড়ার রাস্তায় ইমারতি দ্রব্য রাখত। সম্প্রতি আইনকে তোয়াক্কা না-করে তারা দমদম রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তার উপরেই নির্মাণসামগ্রী রাখতে শুরু করেছে। এ নিয়ে বারংবার অভিযোগ করেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না। তবে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট সংগঠন এ দিন জানায়, তারা নির্মাণসামগ্রী রাস্তার উপরে রাখলেও তা এক-দু’দিনের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্ষায় এমনিতেই দমদম রোডের কিছু অংশ বেহাল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ ভাবে বালি ও পাথর পড়ে থাকায় যাতায়াতে সমস্যা বাড়ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ফুটপাথ সাফাই অভিযানে নামে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। সঙ্গে ছিল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশও। নাগেরবাজারের পুরসভা ভবন থেকে বাগজোলা খালপাড় পর্যন্ত দমদম রোডের দু’ধারের ফুটপাথ এ দিন পরিষ্কার করা হয়। খুলে নেওয়া হয় ঝুলে থাকা বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, ভাঙা হয় অস্থায়ী দোকান। কিন্তু পথচারীদের অভিযোগ, রাস্তার ধারে বিপজ্জনক ভাবে পড়ে থাকা বালি, পাথর কার্যত দেখেও না দেখার ভান করেন পুরকর্মীরা। খালপাড় থেকে ছাতাকল পর্যন্ত প্রাইভেট রোডের কাছে বালি পাথর যেমন পড়ে ছিল, সে ভাবেই পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, দোকানপাট ভাঙার আগে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বালি-সিমেন্ট পরিষ্কার করা বেশি প্রয়োজন ছিল।

পুর-অফিসারেরা জানান, গত দশ দিন ধরে সকাল-বিকেল দু’দফায় ফুটপাথ ‘দখল’ করা দোকান, ইমারতি দ্রব্য তুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল পুরসভা। যদিও এ দিন এলাকায় ঘুরে দেখা গেল, সাফাই অভিযানের পরে রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে বালি-পাথর। এমনকী নতুন ভাবে ট্রাকে করে আনা বালি-পাথরও ফেলা হচ্ছে।

তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সুপ্রিয় হালদার বলেন, “আমরা বহু বার মাইকে প্রচার করে ইমারতি সামগ্রী সাফাই করতে বলেছি। এ দিন সাফাই অভিযানে কিছু ইমারতি দ্রব্য তুলে নেওয়াও হয়েছে। যা পড়ে আছে, সেগুলো এক দিনের মধ্যে রাস্তার ধার থেকে না সরালে সেগুলোও তুলে নিয়ে যাওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE