—ফাইল চিত্র।
অশীতিপর ও অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষককে তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে আসতে পুলিশকে বুধবার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় সোনারপুর থানার পুলিশ ওই শিক্ষককে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে আসবে।
দীনেশ ভট্টাচার্য নামে ওই শিক্ষকের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমিতে ৩৪ বছর পড়িয়েছেন তাঁর মক্কেল। রাজপুরের গাজিপাড়ায় তাঁর বাড়ি। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে কাবেরী বিবাহিতা। ছেলে দেবব্রতবাবু ২০১০ সালে বিয়ে করেন। পরের বছর দীনেশবাবুর স্ত্রী মারা যান।
শিক্ষকের অভিযোগ, ছেলের বিয়ের পর থেকে তাঁর পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। তাঁকে ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। পারিবারিক অশান্তিতে জেরবার হয়ে তিনি সোনারপুর থানায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে কাজ হয়নি। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন এবং ওই বছরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসকের কাছে গার্হস্থ্য শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ তুলে তার প্রতিকারের জন্য ২০১৭ সালে আবেদন জানান। বিহিত না হওয়ায় গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন দীনেশবাবু।
এর আগের শুনানিতে বিচারপতি রাজ্যের কৌঁসুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, পুলিশের কাছে ওই বৃদ্ধের দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত সম্পর্কে একটি রিপোর্ট জমা দিতে। এ দিন পরবর্তী শুনানি ধার্য ছিল। রাজ্যের কৌঁসুলি ছমা মুখোপাধ্যায় আদালতে রিপোর্ট পেশ করে জানান, সোনারপুর থানা অভিযোগের তদন্ত করে নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করে দিয়েছে। দেবব্রতবাবুর কৌঁসুলি আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের বাড়িতে গোলমাল নেই। দীনেশবাবু বাড়ি ফিরতে চাইলে তাঁর মক্কেলের কোনও আপত্তি নেই।
বৃদ্ধকে বাড়ি ফেরাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বসাক এ দিন জানিয়ে দেন, তিনি মামলার নিষ্পত্তি করছেন না। বৃদ্ধ বাড়ি ফিরলেন কি না বা বাড়ি ফেরার পরে পরিস্থিতি কী, তা আগামী ১০ মে রিপোর্ট পেশ করে জানাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy