বিভাস ঘোষ।
গাঁধী জয়ন্তীর সকালে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল নাগেরবাজারের কাজিপাড়া। মারা যায় বিভাস ঘোষ ওরফে বিল্টু নামে একটি বালক। কাল, বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই বিস্ফোরণস্থলেই বিভাসের পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেবেন দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান পাচু রায়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘ওখানে দক্ষিণ দমদম পুরসভার সব কাউন্সিলের উপস্থিতিতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হবে।’’
এ দিন সকালে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান বিভাসের বাবা জন্মেজয়, কাকা দীপেঞ্জয়, দাদা বিকাশ। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানান, তিনি দু’লক্ষ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। জন্মেজয়বাবুর জন্য একটি চাকরির বন্দোবস্ত করার আবেদন জানানো হলে বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে আশ্বাস দেন মমতা। বিভাসের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী যে গভীর ভাবে বেদনাহত, এ দিন কয়েক মিনিটের কথোপকথনে বারবার সেটা ফুটে উঠেছিল বলে জানায় ঘোষ পরিবার। দীপেঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘নাগেরবাজার বিস্ফোরণে বিভাসের মৃত্যু কষ্টদায়ক। সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই’।’’
দগ্ধক্ষত নিয়ে বিভাসের মা সীতাদেবী এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানেই ভর্তি আছেন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত ফল বিক্রেতা অজিত হালদার, ধূপ বিক্রেতা শুভম দে এবং গৃহবধূ সঙ্গীতা প্রসাদ। তাঁদের প্রত্যেকের চিকিৎসা বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিভাসের পরিবারের দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকার চেক এ দিন বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় পৌঁছে গিয়েছে। বিস্ফোরণে আহত অন্যদের চিকিৎসার খরচের দায়িত্ব তৃণমূল নেবে বলে জানান দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান পাচুবাবু। সরকারি সাহায্য ছাড়াও গুরুতর আহত চার জনের চিকিৎসার জন্য আর যা খরচ হবে, সেটাও জোগাবে তৃণমূল।
এসএসকেএমের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন সীতাদেবীর শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও চিকিৎসকেরা এখনই তাঁকে বিপন্মুক্ত বলতে চাইছেন না বলে জানায় তাঁর পরিবার। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন শুভমকে এ দিন দেখতে যান তাঁর মা শোভা দে। আছন্ন অবস্থাতেই মায়ের সঙ্গে কথা বলেন শুভম। তাঁরও বিপদ কাটেনি বলে জানান চিকিৎসকেরা। আরজি কর হাসপাতাল থেকে এ দিন ছাড়া পান বিস্ফোরণে আহত নবকুমার দাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy