Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
co-morbidity

কোমর্বিডিটি কত জনের, সমীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু

করোনায় আক্রান্তদের উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করা বেশি থাকলে অথবা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে পরে শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। তাই আগেই তা চিহ্নিত করতে পারলে কোভিডজনিত জটিলতা এড়ানো সম্ভব বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।

বেহুঁশ: ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেরোলেও চালক ও যাত্রী উভয়েরই মাস্ক নেমে এসেছে থুতনিতে। বুধবার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

বেহুঁশ: ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেরোলেও চালক ও যাত্রী উভয়েরই মাস্ক নেমে এসেছে থুতনিতে। বুধবার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০২:৩৯
Share: Save:

কলকাতা পুর এলাকার বাসিন্দাদের কোমর্বিডিটি বা তাঁদের কী কী রোগ রয়েছে, তা জেনে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত আগে নিয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের তিন সপ্তাহে পুর এলাকার সাড়ে সাত লক্ষ বাড়িতে ওই সমীক্ষা চালিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ নাগরিকের কোমর্বিডিটির সমীক্ষা হয়েছে। এই সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে কোন পরিবারে কার কী বয়সে কী কী অসুখ রয়েছে, সেই তালিকাও তৈরি। এ বার তা কম্পিউটারে তোলার কাজ দ্রুত শুরু হতে চলেছে।

পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, পুর এলাকার ৫০ লক্ষ নাগরিককে নিয়ে এই সমীক্ষা করাই তাঁদের লক্ষ্য। যার মধ্যে ৩০ লক্ষের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে জানা গিয়েছে। বাকি ২০ লক্ষ নাগরিকের স্বাস্থ্য-সমীক্ষা এখনও হয়নি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তা শুরু হবে। সেই তালিকা বিশ্লেষণের পরে তা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে পাঠানো হবে।

করোনায় আক্রান্তদের উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করা বেশি থাকলে অথবা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে পরে শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। তাই আগেই তা চিহ্নিত করতে পারলে কোভিডজনিত জটিলতা এড়ানো সম্ভব বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। সেই ভাবনা থেকেই এই সমীক্ষার শুরু।কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য উপদেষ্টা তপন মুখোপাধ্যায় বলেন, “নাগরিকদের শারীরিক অবস্থার তালিকা তৈরি থাকলে কোভিড চিকিৎসায় সুবিধা হবে। অন্যান্য অসুখের ক্ষেত্রেও এই ধরনের তথ্যভাণ্ডার থাকলে অনেক সুবিধা হবে।”

আরও পড়ুন: দেশীয় উড়ানেও উঠছে কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্রের দাবি

পুরসভা সূত্রের খবর, ৭ সেপ্টেম্বর এই সমীক্ষা শুরু হয়েছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর সেই কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য অস্থায়ী প্রায় ৩,৫০০ জন কর্মীকে নিয়োগ করেছিল পুরসভা। বর্তমানে প্রথম দফায় কম্পিউটারে তথ্য তোলার কাজ চলছে।

আরও পড়ুন: ধর্মঘটে চাকা ঘোরাতে রাজ্য ও পরিবহণ সংগঠনগুলির বৈঠক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE