Advertisement
E-Paper

জেলেও ডেঙ্গির জুজু, ঘুম ভাঙছে কারাকর্তাদের

ওই কর্তা জানিয়েছেন, দু’দিন জ্বর থাকার পরে দেবযানীর এনএস-ওয়ান রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। ফল নেতিবাচক হয়েছে বলেই জানান ওই কর্তা।

অত্রি মিত্র

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৭ ০০:২১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দু’-তিন দিন ধরে জ্বরে পড়েছেন সারদা কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়। শুধু তিনিই নন, কলকাতার আলিপুর, প্রেসিডেন্সি, দমদম এবং আলিপুর মহিলা জেলে বহু বন্দিই ভুগছেন জ্বরে। এর মধ্যে জনা সাতেকের দেহে ডেঙ্গির সংক্রমণও ধরা পড়েছে।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি জেলে জল এবং জঞ্জাল জমিয়ে রাখার দায়ে জরিমানা করেছে কলকাতা পুরসভা। এর পরেই টনক নড়েছে কারা কর্তাদের। কারা দফতরের ডিজি অরুণকুমার গুপ্ত সমস্ত জেলের সুপারদের অবিলম্বে জেলে মশানিধন কর্মকাণ্ড চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ডেঙ্গি সংক্রান্ত মৃত্যু এবং সংক্রমণের খবর সরকার চাপার চেষ্টা করছে বলে প্রথম থেকেই বিভিন্ন মহল সূত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে। কারা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকারি উদাসীনতার কারণে বিষয়টি নিয়ে প্রথমে খানিকটা গা-ছাড়া ভাব ছিল কারা দফতরেও। কিন্তু দেবযানী-সহ বহু বন্দি জ্বরে পড়ায় এবং তাঁদের অনেকের ডেঙ্গি ধরা পড়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে কারা দফতর।’’ ওই কর্তা জানিয়েছেন, দু’দিন জ্বর থাকার পরে দেবযানীর এনএস-ওয়ান রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। ফল নেতিবাচক হয়েছে বলেই জানান ওই কর্তা।

তবে দেবযানীর ডেঙ্গি ধরা না প়ড়লেও জনা সাতেক বন্দি ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি ধরা পড়েছে বলে খবর। এমনকী, কয়েক জনকে জেলের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসাও করাতে হয়েছে। এর পরে ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন কারা দফতরের কর্তারা। কারণ, কলকাতার প্রতি জেল অনেকটা জায়গা জুড়ে। প্রতি জেলেই মশার উপদ্রব যথেষ্ট। প্রতিটি জেলে গড়ে দু’হাজার করে বন্দিও রয়েছে। এক বার যদি ডেঙ্গি বা অন্য কোনও মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ শুরু হয়, তা হলে দ্রুত সেটি
জেলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে কয়েকটি ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর আসার পরেই নড়েচড়ে বসেন কারা কর্তারা।

কারা দফতর সূত্রের খবর, ডিজি-র পাঠানো ওই নির্দেশে কোথাও অবশ্য ডেঙ্গি বা মশাবাহিত অন্য কোনও রোগের কথা উল্লেখ করা নেই। তবে তাতে বলা হয়েছে, মশাবাহিত সমস্ত রোগের প্রতিরোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি দাওয়াইও দিয়েছেন ডিজি। তাতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে জেলের মধ্যে জমে থাকা সব জঞ্জাল পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও জল জমে রয়েছে কি না, ভাল করে পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার ছড়াতে হবে। জেল জুড়ে মশা নিধনের জন্য কামানের ব্যবহারও করতে হবে।

কারা দফতরের কর্তাদের দাবি, ডিজি-র নির্দেশ আসার পরে জেলগুলিতে মশা মারার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁদের আশা, এ যাত্রায় জেলে ডেঙ্গি এবং অজানা জ্বর আর ছড়ানোর আগে রুখে দেওয়া যাবে।

Dengue Malaria Water pollution
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy