Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Calcutta High Court

বন সহায়ক পদে প্যানেল বাতিল নিয়ে দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ! নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

২০২০ সালে বন সহায়ক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু ক্রটির অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগে মামলা হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীর দাবি, ত্রুটি সংশোধন না করে চাকরিতে নিয়োগ করেছিল রাজ্য।

Division Bench of Calcutta High Court dismissed plea of urgent hearing in Forest Department recruitment case

বন সহায়ক পদে ২ হাজার জনের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ওই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি শুনতে রাজি হয়নি আদালত। —প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ১২:১৩
Share: Save:

রাজ্যে বন সহায়ক পদে চাকরি বাতিল নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। বন সহায়ক পদে ২ হাজার জনের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি শুনতে রাজি হয়নি আদালত।

বন সহায়ক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি শুনছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে না। চাইলে অন্য বেঞ্চে মামলা করতে পারেন মামলাকারীরা।

২০২০ সালে বন সহায়ক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু ক্রটির অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগে মামলা হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীর দাবি, ত্রুটি সংশোধন না করে চাকরিতে নিয়োগ করেছিল রাজ্য। ওই মামলায় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে গলদ রয়েছে। এর পর তিনি নির্দেশ দেন, আবার নতুন করে ইন্টারভিউয়ের মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার সময় দেওয়া হয় দু’মাস। পাশাপাশি, বন সহায়ক পদে ২ হাজার জনের নিয়োগের যে তালিকা তৈরি হয়েছিল, আগামী ২ মাস পর তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয় পুরনো তালিকায় থাকা কারও নাম যদি নতুন তালিকা থেকে বাদ যায়, তা হলে তাঁর চাকরি বাতিল হতে পারে।

আদালতের ওই নির্দেশ মতো চলতি সপ্তাহেই সংশ্লিষ্ট পদের জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অবকাশকালীন বেঞ্চে যান কয়েক জন কর্মী। তাঁদের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, পুরনো প্যানেলে কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে সেখান থেকে অযোগ্যদের বার করে দেওয়া হোক। যোগ্যদের কেন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে, এই প্রশ্ন তুলে সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE