ধোঁয়ায় ঢেকেছে চারধার। শুক্রবার। — নিজস্ব চিত্র
আউটডোরে তখন ভিড়। হঠাৎ কালো ধোঁয়া ও ‘আগুন আগুন’ চিৎকার। শুক্রবার বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। দমকল সূত্রে খবর, আগুন লেগেছিল চক্ষু বিভাগের সামনে বৈদ্যুতিক তারের একটি বক্সে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক তদন্তে এক দমকল কর্তা বলেন, ‘‘শর্ট সার্কিটের জেরে এই কাণ্ড।’’ তবে কেউ হতাহত হননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধোঁয়ায় অনেকের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। আউটডোরে রোগীরা ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। বেরোনোর জন্য হাসপাতালের বহির্বিভাগের মূল ফটকের সামনে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এক বছরের নাতির চোখ পরীক্ষা করতে এসেছিলেন ধুলাগড়ের বাসিন্দা সবিতা ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘নাতিকে কোলে নিয়ে ডাক্তারের ঘরে ঢুকছিলাম। হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার। ভয় পেয়ে গিয়েছি।’’ আর এক প্রত্যক্ষদর্শী বিমান চক্রবর্তী জানান, উপরতলায় ভর্তি রোগীরাও ভয়ে জানলা আঁকড়ে চেঁচাতে থাকেন।
তবে উপস্থিত একাংশের দাবি, হাসপাতালের কর্মীরাই বেশ কিছু রোগীকে সুরক্ষিত জায়গায় সরান। এ দিন চোখ পরীক্ষা করাতে আসা শান্তিপুরের বিশ্বনাথ মালি বলেন, ‘‘কালো ধোঁয়া দেখে হাসপাতালের কর্মীরাই রোগীদের পাশের গলি দিয়ে বার করেন।’’ সুপার করবী বড়াল বলেন, ‘‘অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত আছে। বিপদ এড়াতে নিয়ম মেনে প্রথমেই দমকলকে খবর দেওয়া হয়। তবে তারা আসার আগেই কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু এত মানুষের আতঙ্ক সামলানো সহজ নয়। তাই একটু সমস্যা হয়েছে।’’
তবে এ দিনের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে দমকলের জরুরি ফোন নম্বরের কার্যকারিতা। হাসপাতালের এক রোগিণীর আত্মীয়, নিউ ব্যারাকপুরের সুমিতা ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, ‘‘ধোঁয়া দেখেই দমকলের ইমার্জেন্সিতে ফোন করি। কেউ ধরেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy