লটারির পুরস্কারের টাকার ভাগ পাওয়ার লোভে প্রতারিত হলেন এক যুবক।
গত শনিবারের ঘটনা। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন অরবিন্দ সরণির বাসিন্দা পার্থ সাহা। গ্রে স্ট্রিট ছাড়িয়ে ষতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউয়ের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ে অন্য এক যুবক তাঁর কাছে একটি লটারির টিকিট ও ফলাফলের কাগজপত্র দেখায়। পার্থবাবুকে ওই যুবক জানায়, সে লটারি পেয়েছে। কিন্তু সেই টাকা তোলার জন্য আবেদন করার মতো টাকা তার নেই বলেই পার্থবাবুকে জানায় সে। তখনই সেখানে আসে আর এক যুবক। এর পরে পার্থবাবুকে প্রকাশ্য রাস্তায় বোকা বানিয়ে তাঁর হাতের আঙুল থেকে আংটি খুলে নিয়ে যায় দুই প্রতারক।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে শ্যামপুকুর থানা এলাকায়। তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনায় দুই প্রতারক যুক্ত রয়েছে। প্রথমে পার্থবাবুকে লটারির পুরস্কারের ভাগ দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়। প্রথম যুবকটি পার্থবাবুর কাছে পুরস্কারের জন্য আর্থিক সাহায্য চাওয়ার মাঝেই দ্বিতীয় জন সেখানে হাজির হয়। সে প্রথম প্রতারকের হাতে একটি টাকার বান্ডিল তুলে দিয়ে টিকিটটি দাবি করে। এর পরে দুই যুবক পার্থবাবুর সামনে বচসা জুড়ে দেওয়ার নাটক শুরু করে। তার মধ্যেই দুই যুবক পার্থবাবুকে হাতের আঙুলের আংটি খুলে দিতে রাজি করিয়ে ফেলে। পার্থবাবু আংটি খুলে দিলে তাঁর হাতে অভিযুক্তেরা লটারির টিকিট ধরিয়ে দিয়ে তাঁকে টাকার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করতে বলে উধাও হয়ে যায়। এর পরে দু’জন আর ফিরে না আসায় পার্থবাবু নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন।
অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত ওই প্রতারকদের খোঁজ মেলেনি।
লালবাজার সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে একই কায়দায় শ্যামবাজারের কাছে এক যুবকের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছিল প্রতারকেরা। কাশীপুর এলাকায় এ ভাবেই প্রতারিত হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এক যুবক। কাশীপুরের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও শ্যামবাজারের ওই ঘটনায় কাউকে এ পর্যন্ত ধরা যায়নি।
উত্তর কলকাতার বুকে একটির সঙ্গে একটির মিল থাকা এমন প্রতারণার ঘটনা ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। ঘটনার পিছনে কোনও একটি না কি একাধিক দল জড়িত, তার খোঁজও শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy