আপাতত জেলেই থাকছেন গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খান। — ফাইল ছবি।
গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানকে ১৪ দিনের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতে পাঠাল নগর দায়রা আদালত। ফলে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই থাকবেন আমির। মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার আমিরকে নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে ইডি। কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী দাবি করেন, এটি ডার্ক ওয়েব, সাইবার জালিয়াতির মামলা। লেনদেনের জন্য একই ব্যাঙ্কে ২০০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তার মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ ইডির। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কার টাকা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, সেটা দেখার জন্য আমিরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
অন্য দিকে, আমিরের আইনজীবী আদিল বদরের দাবি, আমিরের সব টাকার হিসাব রয়েছে। কোথাও পালিয়ে যাননি তিনি। বাড়িতেই ছিলেন। তাই আমিরকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার আবেদনের বিরুদ্ধে আবেদন করেন আদিল।
মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমেছিল ইডি। গত ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতার ছ’টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। তাঁর ঘরের খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার হন আমির। ইডির পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও এই তদন্তে নামে।
ইডির দাবি, একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বহু জনকে প্রতারণা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমির-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আরও দু’জনকে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলা। আমিরের সল্ট লেকের অফিসে হানা দিয়ে ১,৫০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছিল, এই সব অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেন হত। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সেই টাকা কনভার্ট করা হত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy