নতুন করে রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে গাড়ির হাতবদলের পরম্পরা চলছেই! ফলে মালিকানা বদল হলেও পুরনো মালিকের নামেই পুলিশের খাতায় রেজিস্ট্রেশন থেকে যাচ্ছে। এ জন্য কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে গাড়ির মালিকের হদিস পেতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে তদন্তকারী দলকে।
একই কারণে শনিবার রাতের গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত ট্যাক্সিটির নম্বরের সূত্র ধরে মালিকের খোঁজ পেতে নাজেহাল হয়েছে পুলিশ। ট্যাক্সির নম্বর খতিয়ে দেখা যায়, পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের খাতায় ট্যাক্সির মালিক হিসাবে টালিগঞ্জের বাসিন্দা ব্রজনন্দন পণ্ডিতের নাম রয়েছে। সেই মতো পুলিশ ব্রজবাবুকে ফোন করে। তখনই পুলিশ জানতে পারে, তিনি ওই ট্যাক্সি বছরখানেক আগে অন্য এক জনকে বিক্রি করে দিয়েছেন। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘তবে ব্রজমোহনবাবু তাঁর গাড়িটি যাঁকে বিক্রি করেছিলেন, তাঁর নম্বর রেখে দিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে তাই আমাদের চালককে খুঁজতে সুবিধা হয়েছে। অনেক সময়েই গাড়ি হাত বদল হলেও সঠিক রেজিস্ট্রেশন না থাকায় তদন্তের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়।’’
গাড়িচালকের বিরুদ্ধে কোনও যাত্রী অভিযোগ করলেই পুলিশ গাড়িটির নম্বরের সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সূত্রের খবর, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গাড়ির মালিকানা বদল হলেও বর্তমান মালিকের নাম-ঠিকানা পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের কাছে নথিভুক্ত থাকে না। নিয়ম হল, মালিকানা বদল হলেই নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গাড়ি কেনার পরে নতুন মালিক তাঁর নামে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন না করায় পুলিশ কেস হলে বাধ্য হয়ে পুরনো মালিককেই দৌড়োদৌড়ি করতে হয়। সব মিলিয়ে অভিযুক্ত চালককে খুঁজতে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়।’’