কলকাতা পুরসভা এলাকার মধ্যে কলকাতা উন্নয়ন সংস্থার (কেএমডিএ) দেওয়া লিজ জমির উপর নির্মাণের জন্য আবেদনকারীদের আর আলাদা করে কেএমডিএ-র অনুমতি আনতে যেতে হবে না। যাঁর নামে কেএমডিএ সংশ্লিষ্ট জমি লিজ দিয়েছে, তিনি যে কোনও নির্মাণের জন্য পুরসভায় প্ল্যান জমা দিলে এ বার থেকে পুরসভাই কেএমডিএ-র কাছ থেকে তাঁর হয়ে জমিতে নির্মাণের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র জোগাড় করে নেবে। এ ছাড়া, অনুমোদন পেতে আবেদনকারীকে কেএমডিএ-র কাছে যে টাকা জমা দিতে হত, তাদের হয়ে তা-ও সংগ্রহ করে নেবে পুরসভা।
সোমবার মহাকরণে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেএমডিএ-পুরসভার সমন্বয়ের জন্য সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এ এক জানলার ব্যবস্থা করা হল। সোমবার পুর-কেএমডিএ কর্তাদের এক বৈঠকে প্রয়োজনীয় অধিকার দেওয়া হয় পুরসভাকে। শীঘ্রই কেএমডিএ-র দেওয়া জমিতে নির্মাণের ছাড়পত্র পেতে যে ‘রেট চার্ট’ রয়েছে, তা-ও দেওয়া হবে।” মন্ত্রী জানান, এত দিন নিয়ম ছিল কেএমডিএ-র কাছ থেকে যিনি বা যে সংস্থা লিজে জমি পেয়েছেন, তাঁরা সেখানে নির্মাণের জন্য প্রথমে প্ল্যান জমা দিতেন পুরসভায়। তার পর পুরসভা তাঁকে কেএমডিএ থেকে নির্মাণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র এনে দিতে বলত। ছাড়পত্র পেতে কেএমডিএ-র অফিসে কিছু টাকা জমা দিতে হত। ফলে মানুষকে বারবার দৌড়-ঝাঁপ করতে হত। এই অসুবিধা দূর করতেই এই নয়া ব্যবস্থা চালু হল। কেএমডিএ-র হয়ে পুরসভা যে টাকা সংগ্রহ করবে তা পরে পুরসভা কেএমডিএ-কে দিয়ে দেবে। মন্ত্রী জানান, কলকাতা পুরসভা এলাকায় কেএমডিএ-র দেওয়া লিজ জমিতে নির্মাণের অনুমোদন দিয়ে কেএমডিএ বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি আয় করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy