বিধাননগর পুরসভার অধীনে থাকা রাজারহাটের ১ থেকে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে তৈরি হবে ১১টি জলাধার। এর জন্য জমি খুঁজছেন বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ। ১২টি জলাধারের প্রতিটির ক্ষমতা দেড় লক্ষ গ্যালন। পুরসভার তরফে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের জমি খুঁজে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করছে কেএমডিএ। কাজ শুরু হবে পুজোর পরেই।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর নিগম হওয়ার আগে থেকেই সাবেক সল্টলেকের ১৫টি ব্লকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু ১ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে যে সব এলাকা পড়ে, সেই কেষ্টপুর, বাগুইআটি, রাজারহাট এবং মহিষবাথানে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছনোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সেই সমস্যা সমাধানে প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আম্রুত’ প্রকল্প থেকে পাওয়া যায় ১১৫ কোটি টাকা। তা দিয়ে ২২-২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাইপলাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক এবং সল্টলেকের পাঁচ ও তেরো নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে দু’টি ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরির কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে।
পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক কর্তা জানান, দ্বিতীয় দফায় রাজারহাটের ১ থেকে ২১ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত ১১টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরি হবে। বসবে পাইপলাইন। প্রাথমিক রূপরেখায় বলা হয়েছে, ১ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে একটি, ২ এবং ৪ নিয়ে একটি, ৫ এবং ১২ নিয়ে একটি, ৬ এবং ১১ নিয়ে একটি, ৭ এবং ৯ নিয়ে একটি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি, ১০ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে একটি, ১৩ এবং ১৪ নম্বর নিয়ে একটি, ১৬ এবং ১৮ নম্বর নিয়ে একটি, ১৫ এবং ১৯ নম্বর নিয়ে একটি এবং ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে একটি করে জলাধার তৈরি হবে। পুজোর পরেই কাজ শুরু হবে।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জলাধার তৈরির জন্য কোনও খাসজমি বা সরকারি আছে কি না, পুরসভা থেকে দেখতে বলা হয়েছে। ১ থেকে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে পাইপলাইনে পরিস্রুত জল এলে সকলেই উপকৃত হবেন।’’ একই কথা বলেছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়ও। তাঁর কথায়, ‘‘এই ২১টি ওয়ার্ডে এত দিন পাইপলাইনে জল আসার ব্যবস্থা ছিল না। পূর্ত দফতরের একটি জমি অফিসারদের দেখিয়েছি। পরিস্রুত জল এলে খুবই সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy