Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Calcutta

ক্যাম্পাসে মাদক নয়, ফের বৈঠক

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। বাবা বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকা সংস্থায় কাজ করেন।

গত ডিসেম্বর মাসেও বহিরাগতেরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।

গত ডিসেম্বর মাসেও বহিরাগতেরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৮ ০১:৫১
Share: Save:

ক্যাম্পাসে বহিরাগতের প্রবেশ, মদ ও মাদকদ্রব্য সেবন নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আবার এক দফা বৈঠক করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সূর্য ডুবলেই মাদক সেবনের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝিলের ধার, খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের চাতাল। এমন অভিযোগ উঠেছে বারবার। তা নিয়ে যত কথাই হোক, পরিস্থিতি যে বিশেষ বদলায়নি, সে প্রমাণও মিলেছে। গত ডিসেম্বর মাসেও বহিরাগতেরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বহিরাগতের প্রবেশ, মদ এবং মাদক সেবন সংক্রান্ত বিষয়ে সব পক্ষকে নিয়ে বারবার মিছিল, আলোচনাসভা করতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এমনকি, গত বছর এমনই এক সভায় উপাচার্য সুরঞ্জন দাস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘‘যাদবপুরের মতো দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সব কার্যকলাপ চলতে থাকলে তা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলবে।’’ তবে উপাচার্য সব সময়েই জানিয়েছেন, শাস্তি নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চান তিনি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মূল্যায়ণে (এনআইআরএফ) এক ধাপ নেমে গিয়েছে যাদবপুর। তার পরেই উপাচার্য জানিয়েছিলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির কারণেই এই ‘অবনতি’ হয়েছে।

সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বহিরাগতের প্রবেশ, মদ ও মাদকদ্রব্য সেবন নিয়ে আবার নড়েচড়ে বসেছেন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ছাত্রদের নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এবং ডিন অব স্টুডেন্টস রজত রায়। চিরঞ্জীববাবু এ দিন বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ এবং মদ ও মাদকদ্রব্য সেবন রুখতে পড়ুয়াদের কাছেই আমরা পরামর্শ চাইছি।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ জানালেন, কারও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হোক, তা তাঁরা চান না। কিন্তু ক্যাম্পাসের পরিবেশও নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। ফলে কর্তৃপক্ষের তরফে দু’টি দিকই ভেবে দেখা দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE