Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতার কড়চা: দুই শিল্পী মুখোমুখি

তাঁর তত্ত্বাবধানেই তৈরি হচ্ছে মনু পারেখের চিত্রকর-জীবন নিয়ে একটি ছবি। শুটিং চলছে। কলকাতার মতো গঙ্গাতীরের শহর বারাণসীতেও (যে শহর বারবার বিষয় হয়ে উঠেছে মনুর ছবিতে) শুটিং হবে। গুজরাতের আমদাবাদে জন্মানো (১৯৩৯) মনু একদা থিয়েটারেরও শিল্পী ছিলেন, স্টেজ-ডিজ়াইনের সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন।

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯ ০১:২০
Share: Save:

শিল্পীর আয়নায়

‘‘৬০ বছর বয়সে, একেবারে নিজের জন্য, পৃথিবীর কাউকে মাস্টারমশাই না করে, রঙ তুলি নিয়ে বসাকে ছবি আঁকা বলে না’’, লিখেছিলেন অমিয়ভূষণ মজুমদার (১৯১৮-২০০১)। তবু কাগজে-ক্যানভাসে আঁকা অন্তত পঞ্চাশখানা ছবি আছে ‘গড় শ্রীখণ্ড’ বা ‘মহিষকুড়ার উপকথা’র লেখকের। আঠারো বছর বয়সে এঁকেছিলেন দিদিমা ‘কালোদি’কে, ছবি আবার তাঁর কাছে ফিরেছে চার দশক পরে। ১৯৭৬ থেকে আঁকা সেই সব ছবি নিয়ে গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায় ‘লেখক অমিয়ভূষণের রঙ তুলির খেলা’ প্রদর্শনী করছেন ওঁর উত্তরসূরিরা। আছে ‘শান্তিনিকেতন’, ‘স্প্রিং’, ‘পাকদণ্ডী’, ‘টি অ্যাট তাসিলা’, ‘রাগ টোড়ি’র মতো ছবি, বা শিল্পীর প্রিয় ‘আফটার আ ফ্লাড’ (সঙ্গের ছবি), ‘স্টপিং বাই দ্য গেট’, স্ত্রী গৌরীদেবীর প্রতিকৃতি। জন্মশতবর্ষ অতিক্রান্ত লেখককে শিল্পীর আয়নায় আবিষ্কার। প্রদর্শনী ১২ মার্চ ৩-৮টা পর্যন্ত।

ছবিও তোলেন

তিনি গান করেন আবার ছবিও তোলেন! তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত। সম্প্রতি নন্দন-৪ প্রেক্ষাগৃহে হয়ে গেল তাঁর ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী— ‘আ মিউ আ ভিউ আ ফুলিশ আই কিউ’। ছবির বিষয়বস্তুর সিংহভাগ জুড়ে ছিল তাঁর পোষ্য মার্জারটি (সঙ্গে তারই একটি)। এ ছাড়া ছিল প্রকৃতি ও নারীর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের লাইন দিয়ে করেছিলেন ছবির ক্যাপশন। ছোট থেকেই ফটোগ্রাফির প্রতি ঝোঁক স্বাগতালক্ষ্মীর। সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই বক্স ক্যামেরা দিয়ে সাদা কালো ছবি তুলতেন, মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে প্রথম ডিজিটালে ফটোগ্রাফি শুরু করেন। এখন অবশ্য তিনি ব্যবহার করেন ডিএসএলআর ক্যামেরা।

সবই কি নাটক

পৃথিবীতে, প্রকৃতিতে, মানুষের জীবনে যা কিছু নাটকীয় ঘটনা ঘটে, সবই কি নাটক? না নাটক একটা আলাদা শিল্প, তার কিছু নিজস্ব শর্ত আছে? সেই ন্যূনতম শর্ত কী? শুধু নাটক কি একটা ভাষাপাঠ? নাটক যখন নাট্যে রূপান্তরিত হয় তখন তাতে কতগুলি টেক্সট বা পাঠ যুক্ত হয়? নাটক দেখা আর পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে এই নানা শর্ত আর পাঠের ছবিটি অনুসন্ধান করলেন পবিত্র সরকার। সম্প্রতি ‘বহুরূপী’ আয়োজিত নবম কুমার রায় স্মৃতি নাট্য বক্তৃতায়। কুমার রায় স্মৃতিরক্ষা সমিতি ও আইজ়েনস্টাইন সিনে ক্লাবের উদ্যোগে এই সভায় পবিত্রবাবুর সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘পুরুলিয়া অন্যচোখে’ নাট্যসংস্থা পেল স্মারক সম্মান। সদানন্দ মেনন কৃত অষ্টম স্মারক বক্তৃতার পুস্তিকা প্রকাশ করলেন বিভাস চক্রবর্তী। এই উপলক্ষে একটি চিত্র প্রদর্শনীও আয়োজিত হয়।

সাহিত্য সন্ধ্যা

ঢাকার শাহবাগ, কায়রোর তাহরির স্কোয়্যার, আমেরিকায় অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট, হালে প্যারিসের ইয়েলো ভেস্ট— ছাত্রযুব নাগরিকদের প্রতিবাদ প্রতিধ্বনি। তাই নিয়েই বলবেন ফরাসি সমাজবিদ মার্ক হাৎজ়ফেল্ড, মার্কিন লেখিকা জেরি-লিন স্কোফিল্ড, বাংলাদেশের সাংবাদিক মহসিন হাবিব, কলকাতার নীলাঞ্জন দত্ত। সম্পর্ক প্রকাশনা আয়োজিত ‘সম্পর্ক সাহিত্য উৎসব’-এর সূচনা-সন্ধ্যায়, ১৩ মার্চ পার্ক স্ট্রিটের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ়ে। প্রকাশ পাবে আলাঁ ফোয়া-র লেখা চে গেভারার ফরাসি জীবনীর বাংলা অনুবাদ। উৎসব চলবে ১৩-১৫ ও ১৭ মার্চ। আঞ্চলিক ইতিহাসকার যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তকে নিয়ে উত্তরা চক্রবর্তী ও ভাস্কর চক্রবর্তীর কথোপকথন, মালবিকা কার্লেকরের বঙ্গনারীর আলোকন, বাঙালি মহিলার প্রেম নিয়ে অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর শেষ দিন থাকছে ফরাসি ভারতবিদ আলাঁ দানিয়েলু-র কল্পিত ভারতবর্ষ নিয়ে দার্শনিক আদ্রিয়ান নাভিগান্তের সঙ্গে সুনন্দন রায়চৌধুরীর আলোচনা।

সামাজিক নীতি

গত কুড়ি–পঁচিশ বছরে ভারতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশু বিকাশ, খাদ্য সুরক্ষা, কাজের অধিকার, অরণ্যের অধিকার, ইত্যাদি সামাজিক কর্মসূচির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। আবার এ দেশের সামাজিক নীতির অ-পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ, রূপায়ণে আমলাতান্ত্রিকতা, ইত্যাদি বাধার পাহাড়ও বেশ উঁচু। এই বৈপরীত্যগুলো দূর করতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন ‘ঝোলাওয়ালা অর্থশাস্ত্রী’ জঁ দ্রেজ়। এক দিকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে গবেষণা, ‘বিনা বেতনে কঠিন পরিশ্রম’-এর সেই কাজে ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করা, আবার গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে দাবি আদায়ের লড়াই— সংক্ষেপে এই হচ্ছে তাঁর কর্মকাণ্ড। ১৪ মার্চ বিকেল ৫টায় মহাবোধি সোসাইটি হল-এ জঁ বলবেন ‘আপ্‌স অ্যান্ড ডাউন্‌স অব পাবলিক পলিসি ইন ইন্ডিয়া’। সঙ্গে বলবেন এ বিষয়ে কর্মরত আর এক ব্যক্তিত্ব রীতিকা খেড়া। অনুষ্ঠানটির আয়োজক প্রতীচী ইনস্টিটিউট।

বসন্তের চিঠি

পোস্টকার্ড তো প্রায় হারিয়েই গেল আমাদের দৈনন্দিন থেকে... এ-শহরের মানুষজনকে সেই নস্টালজিয়ায় পৌঁছে দেবে দেবভাষা-র নতুন চিত্রপ্রদর্শনী: ‘রঙে রঙে বসন্তের চিঠি’। শিল্পীরা প্রতিটি ছবিই এঁকেছেন পোস্টকার্ডে। শুধু এখনই নয়, কিংবদন্তি চিত্রকরেরা এ তাবৎ নিজেদের শিল্পজীবনে এঁকেছেন অজস্র পোস্টকার্ড, পাঠিয়েছেন তাঁদের কাছের মানুষকে, ‘‘এ সব চিঠি অক্ষরে রচিত নয়, চিত্রে নিহিত এর ভাষা।’’ মনে করেন সৌরভ দে ও দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়, দেবভাষা-র তরফে তাঁরা এমন শিল্পকর্মই ফিরে দেখাতে চাইছেন। শুভারম্ভ আজ সন্ধে ৬টায়, ‘দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাস’-এ, চলবে ২৪ মার্চ অবধি (মঙ্গলবার বাদে রোজ ২-৮:৩০)। সঙ্গে গণেশ হালুইয়ের আঁকা একটি পোস্টকার্ড। অন্য দিকে বসন্তের নিসর্গ নিয়ে আলোকচিত্রের প্রদর্শনী ও কর্মশিবির, ১৮-২০ মার্চ, মোহরকুঞ্জে। আয়োজনে ফটোগ্রাফি চর্চা।

কবি-গীতিকার

তাঁর কবিতায় কে না সুর দিয়েছেন— গোপেন মল্লিক, সুধীন দাশগুপ্ত থেকে শুরু করে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অমল দাশগুপ্ত। গীতা দত্তের প্রথম দিকের বাংলা গান ‘তুমি যদি বলো ভালবাসা দিতে জানি না...’ কবি-গীতিকার মোহিনী চৌধুরীর কথায়। তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম দিকের রেকর্ড ‘নয়নে আজ উঠল দুলে’ ও ‘যে গান লেগেছে ভাল’ও তাঁর কথায়। ফরিদপুরের কোটালিপাড়ার ডহরপাড়া গ্রামে ১৯২০-র ৫ সেপ্টেম্বর জন্ম মোহিনী চৌধুরীর। রিপন স্কুলে সহপাঠী ছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। জিপিও-তে সহকর্মী হিসেবে পান শক্তিপদ রাজগুরুকে। বহু চলচ্চিত্রে তাঁর গান ব্যবহৃত হয়েছে। এ বার তাঁকে শতবার্ষিক শ্রদ্ধা জানাতে ১৫ মার্চ বেহালা ব্লাইন্ড স্কুলের মাঠে বইমেলার উদ্বোধনে শত কণ্ঠে তাঁর দু’টি গান পরিবেশিত হবে। পরিচালনায় নমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নব্বই ছুঁয়ে

চট্টগ্রামে, চাঁদপুরে কেটেছে শৈশব-কৈশোর। শান্তিনিকেতনের শিক্ষাভবনে পড়ার পাশাপাশি শান্তিদেব ঘোষ ও শৈলজারঞ্জন মজুমদারের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা, পরে দিল্লির রুক্ষ কঠিন মাটিতে শিকড় ছড়িয়ে এক ছায়াময় মহীরুহ হয়ে ওঠা। অমিতা সেনের অনুরোধে গান শেখাতে শুরু করেন সুধীর চন্দ। ১৯৫৮ সালে শান্তিনিকেতন থেকে বনানী ঘোষ, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় ও আরও অনেকের সঙ্গে দিল্লিতে ‘চণ্ডালিকা’ নৃত্যনাট্য করতে এসে থেকে যান সেখানেই। আনসারি রোড, করোলবাগ, পাহাড়গঞ্জ হয়ে শেষে থিতু হন চিত্তরঞ্জন পার্কে। হয়ে উঠেছিলেন সকলের মাস্টারমশাই। গড়ে তোলেন ‘রবিগীতিকা’ সংস্থা। রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপর বেশ কিছু গ্রন্থের প্রণেতা এই মানুষটি এখন দিল্লির পাট তুলে চলে এসেছেন কলকাতায়। ৬ মার্চ পা দিলেন নব্বইয়ে। জন্মদিনে করোলবাগ বঙ্গীয় সংসদ তাদের হীরকজয়ন্তী সমারোহের অঙ্গ হিসেবে সম্মাননা জানাতে পৌঁছে গিয়েছিল তাঁর বাড়িতে। আত্মভোলা, অকৃতদার মানুষটি গান ধরলেন, ‘‘সন্ধ্যা হল গো ও মা...’’।

সিরাজদ্দৌলা

শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের (১৮৯২-১৯৬১) জন্ম খুলনা জেলার সেনহাটি গ্রামে। যৌবনে শ্রীঅরবিন্দের সংস্পর্শে আসেন, তাঁরই নির্দেশে ‘বিজলি’ ও ‘ফরোয়ার্ড’ পত্রিকা দু’টির পরিচালনায় যুক্ত হন। পরে বেছে নেন নাট্যকার জীবন। দ্বিতীয় নাটক ‘গৈরিক পতাকা’ (১৯৩০) থেকেই তাঁর খ্যাতির সূচনা। শচীন্দ্রনাথের কলমে স্বদেশপ্রেম নাটকের মূল ভাবধারায় পরিণত হয়। তাঁর ‘সিরাজদ্দৌলা’ সে কালে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে। পঞ্চাশের দশকে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের সভাপতি ছিলেন। তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে নাট্যদল ‘দ্বিতীয় সত্তা’, তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরি ও পৌত্র সুমন সেনগুপ্তের পরিচালনায় সম্প্রতি ‘সিরাজদ্দৌলা’ মঞ্চস্থ করল।

স্বপ্নজগৎ

হুগলি জেলার প্রান্তিক গ্রাম দিলাকাশে বেড়ে ওঠা। ছবি আঁকার নেশায় স্কুলের পাট চুকিয়ে শহরে পৌঁছন স্বপনকুমার পল্লে। ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজে চিত্রশিক্ষার পর বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় কর্মজীবন। ১৯৭৭-এ প্রথম একক প্রদর্শনী হাওড়ায়, ১৯৯১-এ অ্যাকাডেমিতে দ্বিতীয় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন লেডি রানু মুখোপাধ্যায়। জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর ছবি প্রদর্শিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। দেশবিদেশের বহু প্রদর্শশালায় এবং ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে তাঁর ছবি। তাঁর ছবিতে নারীর আনন্দ-বেদনা, প্রেম, অপূর্ণ ইচ্ছে, রহস্যময়তা মিলে তৈরি হয় এক স্বপ্নজগৎ। ১১ মার্চ অ্যাকাডেমির নর্থ গ্যালারিতে তাঁর ষষ্ঠ একক প্রদর্শনী শুরু, চলবে ১৭ পর্যন্ত।

নাট্যমগ্ন

তাঁর সম্পর্কে আশির দশকে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত একটি কবিতায় লিখেছিলেন ‘‘চিকণ বাঁশপাতায় ঠিকরে পড়া রোদ্দুরের ভল্যানটিয়ার’’। সেই শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়ের নাট্যচর্চার হাতেখড়ি ১৯৭৪-এ ‘সংবর্ত’ গোষ্ঠীর নির্দেশক ও আখ্যানকার সুনীল দাশের কাছে। তখন থেকে অবিরত অভিনয় করে চলেছেন শান্তনু। জার্মান টেলিফিল্মে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকায়, কিংবা হাইনে, রিলকে, হোল্ডারলিন, এমনকি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভূমিকাতেও করেছেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’, ‘ঋণশোধ’, ‘ডাকঘর’-এর সঙ্গে করেছেন বুধসন্ধ্যা আয়োজিত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘রাজারানি’ ও নবনীতা দেব সেনের ‘অভিজ্ঞান দুষ্মন্তম’-এ মুখ্য ভূমিকায়। এখন অভিনয় করছেন থেসপিয়ানস্‌-এর ‘সাজাহান’-এ নামভূমিকায় ও নির্মীয়মাণ প্রযোজনা ‘বিসর্জন’-এ রঘুপতির চরিত্রে। আমন্ত্রণ পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথের ‘রথের রশি’ বা বাদল সরকারের ‘সারা রাত্তির’ নির্দেশনার। এ শহরের সঙ্গে অভিনয় করে এসেছেন দিল্লি আর শ্রীনগরেও। বাচিক শিল্পেও সমান পারঙ্গম, সম্প্রতি ভাষ্যপাঠ করলেন সুরেশ দত্তের নতুন পুতুল-নাটকে। সংবাদ পাঠ করতেন আকাশবাণী কলকাতা ও দিল্লিতে। একই সঙ্গে অব্যাহত অনুবাদ আর সম্পাদনার কাজ। উল্লেখ্য অনুবাদ নির্মলকান্তি ভট্টাচার্যের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে ইউ আর অনন্তমূর্তি-র গল্পের। সাহিত্য অকাদেমি-র দীর্ঘকালের কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন সম্প্রতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE