ফাইল চিত্র।
গত সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছিল শহরের বহু এলাকা। ই এম বাইপাসের নয়াবাদ, ঠাকুরপুকুর, জোকার কিছু অংশে শনিবার পর্যন্ত সেই জল নামেনি। রবিবারের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি আরও বাড়াল।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে বাইপাসের ধাপা এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ২৪ মিলিমিটার। তপসিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে ১৯ মিলিমিটার। বেহালা ফ্লাইং ক্লাব এলাকা, কেপিটি ক্যানাল এলাকায় ২০ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে। পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, এ দিনের বৃষ্টিতে বেহালা এলাকায় জল না জমলেও ঠাকুরপুকুর, জোকার একাংশে জল জমে ছিল। বাদ যায়নি বাইপাসের নয়াবাদ এলাকাও। নয়াবাদের বেশ কিছু আবাসনের জলাধার, সেপটিক ট্যাঙ্ক এখনও জলমগ্ন। ওই এলাকার ছোট রাস্তাগুলিতে জল জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত এক সপ্তাহ ধরে একই ভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার জোকা হাঁসপুকুরের কাছে একটি বেসরকারি আবাসনের বাসিন্দারা। সেখানে ৩৫টি ফ্ল্যাটে প্রায় দেড়শো মানুষের বাস। ঠাকুরপুকুর বাজার থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে বাখরাহাট রোডের ওই আবাসনের এক বাসিন্দা, পেশায় বেসরকারি সংস্থার আধিকারিক সন্দীপ বসু রবিবার বলেন, ‘‘১৯শে জুলাই থেকেই আমরা জলবন্দি হয়ে বাস করছি। জল পুরো নামার আগেই ফের জল জমছে। গত রবিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে অবস্থা আরও খারাপ। তিন দিন অফিসেই থাকছি। বাড়ি ঢুকতে পারছি না।’’ ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালের কাছাকাছি অংশেও একই পরিস্থিতি।
ঠাকুরপুকুর, জোকার এই সমস্ত এলাকায় সাপ, জোঁক, বিষাক্ত পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ছে বলে অভিযোগ। শনিবার ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে এই দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক মতো তৈরি না করেই ওই সমস্ত নিচু এলাকায় অবাধে আবাসন তৈরি করায় সমস্যা বেড়েছে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিংহ বলেন, ‘‘জোকার ওই আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ ঠিক। ওটা খুব নিচু জায়গা। আমরা শহরের জল জমার সমস্যা মেটাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে সমীক্ষা করাচ্ছি। তারা রিপোর্ট দিলে সেই মতো কাজ হবে। তার পরে আশা করছি ওই এলাকার সমস্যা অনেকটাই মিটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy