Advertisement
E-Paper

সল্টলেকে ফের মৃত্যু সোয়াইন ফ্লু-এ

চিকিৎসকেরা জানান, সোয়াইন ফ্লু-র পাশাপাশি রজনীদেবী স্থূলতা, টাইপ টু ডায়াবিটিস এবং থাইরয়েডের রোগী হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়। শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ০১:৪৯

সোয়াইন ফ্লু-এ আক্রান্ত হয়ে ফের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল সল্টলেকে। মৃত প্রৌঢ়া রজনী ধন্নানিয়া (৫৭) সল্টলেকের বিই ব্লকের ২৮১ নম্বর বাড়িতে থাকতেন।

ঘটনাচক্রে, বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত ওই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর।

গত বৃহস্পতিবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন রজনীদেবী। হাসপাতাল সূত্রের খবর, নমুনা পরীক্ষার পরে জানা যায়, ওই প্রৌঢ়া এইচ১এন১ ভাইরাসে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা জানান, সোয়াইন ফ্লু-র পাশাপাশি রজনীদেবী স্থূলতা, টাইপ টু ডায়াবিটিস এবং থাইরয়েডের রোগী হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়। শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।

গত নভেম্বরে এফই ব্লকে সোয়াইন ফ্লু-এ আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যুর পরে তৎপরতা বাড়িয়েছিল বিধাননগর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। সেই ঘটনার তিন মাসের মাথায় কেষ্টপুরের এক বাসিন্দাও এইচ১এন১

ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারান। পুর এলাকায় পরপর তিনটি মৃত্যুর ঘটনায় বায়ুবাহিত রোগ মোকাবিলায় পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেষ্টপুরের মৃত্যুর পরে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় মানুষকে সচেতন করার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার মৃতার স্বামী পবন ধন্নানিয়া বলেন, ‘‘স্ত্রীর শারীরিক সমস্যা হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করি। সোয়াইন ফ্লু-র বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই।’’

এ দিন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয়বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে মেয়র বলেন, ‘‘সোয়াইন ফ্লু-এ আক্রান্ত হয়ে

কোনও বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে, এই তথ্য পুরসভাকে জানানো হলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তার কথায়, ‘‘দেশ জুড়েই এই ভাইরাস চরিত্র বদল করেছে। হাঁচি-কাশি থেকে যেহেতু এই রোগ ছড়ায়, তাই সকলের সাবধান হওয়া উচিত।’’

Death Swine Flu Salt Lake
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy