বিমানবন্দরের আদলে শিয়ালদহ স্টেশন সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা আগেই হয়েছিল। এ বার সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে সোমবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে শিয়ালদহ স্টেশনে উদ্বোধন হল একটি ঝাঁ চকচকে এগজিকিউটিভ লাউঞ্জের। কাচের দেওয়ালে মোড়া বাতানুকূল সেই লাউঞ্জে আরামদায়ক সোফা, আধুনিক শৌচাগার, এলসিডি টিভি, ওয়াইফাই, মৃদু বাজনার ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে পছন্দসই খাদ্য এবং পানীয় বেছে নেওয়ার সুযোগ।
রেলকর্তাদের দাবি, গত কয়েক দশকে শিয়ালদহ স্টেশনের চরিত্র বদলেছে। এক সময়ে শহরতলির ট্রেন নির্ভর শিয়ালদহ স্টেশন থেকে এখন একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ে। ভবিষ্যতে ওই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দেশের অনান্য প্রান্ত ছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বহু যাত্রী ট্রেনে সকালে কলকাতায় পৌঁছে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আবার রাতেই এখান থেকে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরেন। খুব ভোরে বা বেশি রাতে ট্রেন ধরার জন্য সময়মতো স্টেশনে পৌঁছতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন শহরতলির অনেক যাত্রী। এমন যাত্রীদের প্রয়োজনের কথা ভেবেই নতুন এগজিকিউটিভ লাউঞ্জ চালু করা হল বলে খবর। এ বার কিছুটা সময় আরামদায়ক পরিবেশে জিরিয়ে নিয়ে যাত্রীরা ট্রেন ধরতে পারবেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশনের (আইআরসিটিসি) ব্যবস্থাপনায় ওই লাউঞ্জ চালু হয়েছে। নির্বাচনের মরসুম হওয়ায় বড়সড় উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পথে হাঁটেননি রেলকর্তারা। দু’জন কর্তব্যরত মহিলা টিকিট পরীক্ষক এ দিন লাউঞ্জটির উদ্বোধন করেন।
কী ধরনের সুবিধে থাকছে এই লাউঞ্জে?