Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩

খালে আবর্জনা ফেলা রুখতে রেলিং

সেচ দফতর সূত্রের খবর, পাটুলির গ্রিন ভিউ থেকে শুরু করে কেন্দুয়া হয়ে বাঘা যতীন রেলগেটের কাছে শেষ হয়েছে খালটি। খালের অবস্থা দেখে বিষয়টি সেচমন্ত্রীর নজরে আনা হয়েছিল। দফতরের আর্বান ড্রেনেজ ডিভিশনের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে কাজটি হবে। দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

উদ্যোগ: এই খালের ধারেই লোহার রেলিং বসাবে সেচ দফতর। নিজস্ব চিত্র

উদ্যোগ: এই খালের ধারেই লোহার রেলিং বসাবে সেচ দফতর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৮ ০২:৪৯
Share: Save:

দু’পাড় জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে আবর্জনা। খালের জলেও পড়ে সে সব। সেই তালিকায় থাকে তোশক, থার্মোকল, প্লাস্টিক-সহ যাবতীয় জঞ্জাল। এ সবের জেরে ক্রমেই নিকাশির বেহাল দশা হয়। ছড়ায় দূষণ। সেই সঙ্গে মশার বংশবিস্তারও চলে নির্ঝঞ্ঝাটে। কলকাতা ও শহরতলির খালগুলোরই ছবি এমনই। ব্যতিক্রম ছিল না দক্ষিণ কলকাতার পাটুলি দিয়ে বয়ে যাওয়া টিপি মেন খালটিও (কেন্দুয়া খাল নামে পরিচিত)।

Advertisement

সেই খালের জলে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে লোহার ফেন্সিং দিয়ে তা ঘেরার কাজ হাতে দিয়েছে রাজ্য সেচ দফতর। কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের কথায়, ‘‘খালটির জল পরিষ্কার রাখতে মাঝেমধ্যেই সাফ করা হয়। কিন্তু কিছু বাসিন্দা যাতায়াতের পথে বাড়ির জঞ্জাল খালে ফেলে দিয়ে চলে যান। বারবার আবেদন করেও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ বার তাই দু’পাড় রেলিংয়ে দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ সেচ দফতর সূত্রের খবর, পাটুলির গ্রিন ভিউ থেকে শুরু করে কেন্দুয়া হয়ে বাঘা যতীন রেলগেটের কাছে শেষ হয়েছে খালটি। খালের অবস্থা দেখে বিষয়টি সেচমন্ত্রীর নজরে আনা হয়েছিল। দফতরের আর্বান ড্রেনেজ ডিভিশনের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে কাজটি হবে। দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

সেচ দফতর সূত্রের খবর, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অনেকে হেঁটে বা মোটরবাইকে করে যাওয়ার সময়ে প্লাস্টিকে মোড়া জঞ্জাল ছুড়ে ফেলে যান খালের জলে। আর যাতে তা না করা যায়, সে জন্যই প্রায় ছ’ফুট উঁচু রেলিং দিয়ে খালপাড় ঘেরা হবে। খালের দু’পাড়ের দৈর্ঘ্য প্রায় চার কিলোমিটার। রেলিং দিয়ে ঘিরতে প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ওই কাজ শেষ হলে খালপাড় সৌন্দর্যায়নে হাত দেওয়া হবে।

কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, পুর এলাকার খালগুলোর একই সমস্যা। বাসিন্দাদের বারবার সচেতন করা হলেও সাড়া মেলে না। যদিও সেচ দফতরের আধিকারিকদের মতে, স্থানীয় কাউন্সিলর, রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ প্রশাসন সকলে একজোট হয়ে এ ব্যাপারে কাজ করলে পুকুরে বা খালের জলে জঞ্জাল ফেলার প্রবণতা কমানো যায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.