হাতেকলমে: গতি মাপার ক্লাস। মঙ্গলবার। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী।
বেপরোয়া গতির গাড়ি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক গার্ডের বাছাই করা অফিসারদের দেওয়া হল ‘স্পিড লেজার গান’ যন্ত্রের প্রশিক্ষণ। মঙ্গলবার রেড রোডে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ট্র্যাফিক গার্ডের জনা পঞ্চাশ অফিসার ও কর্মীকে।
লালবাজার সূত্রের খবর, পথ নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে রাজ্য জুড়ে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি পালন করলেও শহরের রাস্তায় বেপরোয়া গাড়িতে লাগাম পরানো যায়নি। লেক মলের কাছে বেপরোয়া গাড়ির বলি হয়েছেন এক মডেল। এর পরেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশ। এখন কলকাতা পুলিশের হাতে ১০টি ‘স্পিড লেজার গান’ রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডেই ওই যন্ত্র চালানোর প্রশিক্ষিত কর্মী ও অফিসারের অভাব। যার জেরে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়েও সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছিলেন আইনভঙ্গকারী চালকেরা।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন প্রায় আটটি ট্র্যাফিক গার্ডের দু’জন সার্জেন্ট-সহ ছ’জন পুলিশকর্মীকে ওই যন্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা চলতি সপ্তাহ থেকেই ওই যন্ত্র নিয়ে রাস্তায় কাজ শুরু করবেন। তবে, ওই যন্ত্র শুধু দিনের আলোতেই গাড়ির গতি মাপতে সক্ষম। তা হলে কি রাতের পথে বেপরোয়া গতি মাপার কোনও ব্যবস্থা নেই? কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, ‘স্পিড লেজার গান’ ছাড়াও গাড়ির গতি মাপার জন্য ‘অটোমেটিক স্পিড গান’ বসানো হয়েছে বিভিন্ন রাস্তায়।
যা দিনের পাশাপাশি রাতের অন্ধকারেও চলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy