মানিকতলার দম্পতির বিক্রি করা এক কন্যা সন্তান এ বার সোনাগাছি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বড়তলা থানার সোনাগাছি এলাকা থেকে ওই শিশুকে উদ্ধারের পরে শিশু কল্যাণ সমিতির নির্দেশে হোমে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সোনাগাছির ওই যৌনকর্মীকে, যাঁর কাছে আড়াই বছরের ওই শিশুকন্যাকে বিক্রি
করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ জুন মানিকতলার বাসিন্দা সঞ্জীব এবং ঝর্না দাসের বিরুদ্ধে তাঁদেরই এক আত্মীয়া তিন সন্তানকে বিক্রি করা অভিযোগ আনেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পেশায় গাড়িচালক সঞ্জীব এবং পরিচারিকার কাজ করা ঝর্নার বড় দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে আদ্যাপীঠের এক আশ্রমে থেকে পড়াশোনা করে। তার বছর পাঁচেকের ভাই বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকত।
কিন্তু এই দুই ছেলের পরেই একটি মেয়ে হয়। তাকেই প্রথম বিক্রি করেন ওই দম্পতি। টাকার লোভে পরের দুই সন্তানকেও বিক্রি করেন ওঁরা। এর পরেই জানাজানি হয় বিষয়টি। পুলিশকে ওই দম্পতির বড় ছেলে বলেছে, ‘‘আমাদের দু’টি বোন এবং একটি ভাই আছে, তা জানি। তাদের যে বাবা-মা কাউকে দিয়েছেন, সেটাও জানি।’’
শুধু তা-ই নয়। পুলিশের দাবি, আড়াই মাসের ছেলেকে একটি লোক এসে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ঝর্নার হাতে টাকা দিয়েছিল। পুলিশকে সে কথাও জানিয়েছে ওই ছেলেটি। ৪ তারিখ মানিকতলা থানার পুলিশ আড়াই মাসের সেই পুত্র সন্তানকে মালদহ থেকে উদ্ধার করে। এর পরেই বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয়েছে ওই দম্পতির এক কন্যা সন্তান। সোনাগাছিতে তাকে কত টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল, জানতে খোঁজ করছে পুলিশ। কলকাতা শিশু কল্যাণ সমিতি সূত্রের খবর, এখনও মোট পাঁচ সন্তানের কথা জানা গিয়েছে। তবে ওই দম্পতির আর সন্তান আছে কি না, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy